জামালপুরে নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন বিরোধী বিট পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন। ছবি : মাহমুদুল হাসান মুক্তা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জামালপুর জেলা পুলিশের আয়োজনে নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন বিরোধী বিট পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামালপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে ১৭ অক্টোবর সকালে পুলিশ সুপার কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রাণী সরকারের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, জামালপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হোসেন, পৌরসভার মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আইনজীবী আমান উল্লাহ আকাশ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা, মুক্তিযোদ্ধা সুজায়েত আলী ফকির, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুম রেজা রহিম, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা ইয়াছমিন লিটা, বাংলারচিঠিডটকম এর সম্পাদক ও মানবাধিকারকর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের ছাত্রী স্নিগ্ধা প্রমুখ। সমাবেশের আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন জামালপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, মিটসেলফ খোলা রেখে বিড়ালকে দুধ খেতে না করলে, বিড়াল কি শুনবে, শুনবে না। ঠিক ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির আইন সংশোধন করে মৃত্যুদন্ডের অধ্যাদেশ জারি করাতেও কোন লাভ হবে না। একদিকে এই কঠোর শাস্তির আইনের সঠিক প্রয়োগ ও সঠিক তদন্ত করতে হবে, অন্যদিকে সমাজ থেকে মাদকনির্মূল ও ইন্টারনেটের অপব্যবহার বন্ধ করাসহ সকল প্রকার সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। আর যেন একজন নারীও ধর্ষণ বা কোন প্রকার নির্যাতনের শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সব সময় সজাগ থেকে সর্বত্র সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান বক্তারা।

সমাবেশে জামালপুর সদর উপজেলা ও জামালপুর পৌরসভা এলাকার ২২টি বিট পুলিশিং ইউনিটের সাথে যুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ এই সমাবেশে অংশ নেন।