ঢাকা ০৯:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জামালপুরে অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করার দাবি শিক্ষার্থীদের, ডিসি স্মারকলিপি নেননি জামালপুরে দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি করতে হলে তারেক জিয়ার নামেই স্লোগান দিতে হবে : বিএনপিনেতা শামীম আহমেদ শেরপুরে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ অনুষ্ঠিত জামালপুর জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদে শাকিলের প্রার্থিতা ঘোষণা সরিষাবাড়ীতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি মাদারগঞ্জে যুবদলের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় নেতা-কর্মীদের ঢল নরুন্দি রেলস্টেশনে অবকাঠামো উন্নয়ন ও আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবি জামালপুরে ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত মাতলামির অভিযোগে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগনেতা নূর হোসেন আবহানী গ্রেপ্তার

ফ্রান্সের নতুন নিষেধাজ্ঞার ‘হুমকির’ তীব্র নিন্দা ইরানের

ইরানের জাতিসংঘ মিশন তেহরানের পরমাণু কর্মসূচির ওপর ২০১৫ সালের ঐতিহাসিক চুক্তির অধীনে প্রত্যাহার করা নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনরায় আরোপের জন্য ফ্রান্সের ‘হুমকির’ নিন্দা জানিয়েছে। ৩০ এপ্রিল বুধবার ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের গণমাধ্যম এই খবর জানিয়েছে।

২৮ এপ্রিল সোমবার ফ্রান্স বলেছে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচীর কারণে ইউরোপীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়লে জার্মানি এবং ব্রিটেনের সাথে তারা ‘এক সেকেন্ডের জন্যও ইরানের ওপর সমস্ত নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে দ্বিধা করবে না’। কারণ, তেহরান এবং ওয়াশিংটন একটি নতুন চুক্তির জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

জাতিসংঘে ইরানের মিশন দেশটির ‘ইসনা’ সংবাদ সংস্থা প্রচারিত একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘হুমকি এবং অর্থনৈতিক ব্ল্যাকমেইলের আশ্রয় নেওয়া সম্পূর্ণরুপে অগ্রহণযোগ্য।’

ফ্রান্স, জার্মানি এবং ব্রিটেন, চীন ও রাশিয়ার সাথে ২০১৫ সালে ইরানের সাথে করা পরমাণু চুক্তির পক্ষ, যা থেকে তিন বছর পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাহার করে নেয়।

চুক্তির অধীনে পক্ষগুলো ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়াটি চালু করতে পারে, যা ইরানের অমান্যের ওপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনর্বহাল করবে। এই বিকল্পের মেয়াদ শেষ হবে অক্টোবরে।

দীর্ঘদিনের শত্রু ইরান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১২ এপ্রিল থেকে তাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় ব্যস্ত রয়েছে, যা একটি নতুন চুক্তির লক্ষ্যে কাজ করছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি গত সপ্তাহে বলেছিলেন, তিনি আলোচনার জন্য জার্মানি, ফ্রান্স এবং ব্রিটেন সফরে যেতে ইচ্ছুক।

ইরানের জাতিসংঘ মিশন তাদের চিঠিতে বলেছে, ‘হুমকি বা চাপের মুখে প্রকৃত কূটনীতি এগিয়ে যেতে পারে না।’

‘যদি ফ্রান্স এবং তার অংশীদাররা সত্যিই কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী হয়, তাহলে তাদের অবশ্যই বলপ্রয়োগ ত্যাগ করতে হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুরে অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করার দাবি শিক্ষার্থীদের, ডিসি স্মারকলিপি নেননি

ফ্রান্সের নতুন নিষেধাজ্ঞার ‘হুমকির’ তীব্র নিন্দা ইরানের

আপডেট সময় ০৯:৫৪:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

ইরানের জাতিসংঘ মিশন তেহরানের পরমাণু কর্মসূচির ওপর ২০১৫ সালের ঐতিহাসিক চুক্তির অধীনে প্রত্যাহার করা নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনরায় আরোপের জন্য ফ্রান্সের ‘হুমকির’ নিন্দা জানিয়েছে। ৩০ এপ্রিল বুধবার ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের গণমাধ্যম এই খবর জানিয়েছে।

২৮ এপ্রিল সোমবার ফ্রান্স বলেছে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচীর কারণে ইউরোপীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়লে জার্মানি এবং ব্রিটেনের সাথে তারা ‘এক সেকেন্ডের জন্যও ইরানের ওপর সমস্ত নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে দ্বিধা করবে না’। কারণ, তেহরান এবং ওয়াশিংটন একটি নতুন চুক্তির জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

জাতিসংঘে ইরানের মিশন দেশটির ‘ইসনা’ সংবাদ সংস্থা প্রচারিত একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘হুমকি এবং অর্থনৈতিক ব্ল্যাকমেইলের আশ্রয় নেওয়া সম্পূর্ণরুপে অগ্রহণযোগ্য।’

ফ্রান্স, জার্মানি এবং ব্রিটেন, চীন ও রাশিয়ার সাথে ২০১৫ সালে ইরানের সাথে করা পরমাণু চুক্তির পক্ষ, যা থেকে তিন বছর পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাহার করে নেয়।

চুক্তির অধীনে পক্ষগুলো ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়াটি চালু করতে পারে, যা ইরানের অমান্যের ওপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনর্বহাল করবে। এই বিকল্পের মেয়াদ শেষ হবে অক্টোবরে।

দীর্ঘদিনের শত্রু ইরান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১২ এপ্রিল থেকে তাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় ব্যস্ত রয়েছে, যা একটি নতুন চুক্তির লক্ষ্যে কাজ করছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি গত সপ্তাহে বলেছিলেন, তিনি আলোচনার জন্য জার্মানি, ফ্রান্স এবং ব্রিটেন সফরে যেতে ইচ্ছুক।

ইরানের জাতিসংঘ মিশন তাদের চিঠিতে বলেছে, ‘হুমকি বা চাপের মুখে প্রকৃত কূটনীতি এগিয়ে যেতে পারে না।’

‘যদি ফ্রান্স এবং তার অংশীদাররা সত্যিই কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী হয়, তাহলে তাদের অবশ্যই বলপ্রয়োগ ত্যাগ করতে হবে।