সর্বোচ্চ নেতা নিয়োগকারী সংস্থায় পুনরায় নির্বাচন করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে : হাসান রুহানি

ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক :

ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ২৪ জানুয়ারি বলেছেন, ২৪ বছর সদস্যপদ থাকার পরও তাকে দেশের সর্বোচ্চ নেতা নিয়োগকারী সংস্থায় পুনরায় নির্বাচন করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।

রুহানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বলেছে, আশাবাদীদের যাচাই করার দায়িত্বে থাকা আইনবিদরা বিশেষজ্ঞদের অ্যাসেম্বলিতে নতুন মেয়াদের জন্য তার প্রার্থিতা ‘অনুমোদিত করেননি।’

তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলা হয়নি।

তার ওয়েবসাইট বলা হয়েছে, দিনের শেষে রুহানি এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছেন। রুহানি ‘স্বৈরশাসক সংখ্যালঘুদের সংবিধান বিরোধী পদ্ধতির’ নিন্দা করেছেন।

তিনি বলেন, ‘যারা রাজনৈতিক উদ্দেশে আমাকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে তারা ইসলামী বিপ্লব ও দেশের মালিক নয়, দেশের স্বার্থ নির্ধারণের ক্ষমতাও তাদের নেই।’

মধ্যপন্থী রুহানি অভিযোগ করেন, ‘ক্ষমতাসীন সংখ্যালঘু’ শাসক গোষ্টি নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ হ্রাস করার জন্য চূড়ান্তভাবে’ নির্বাচন এবং ব্যালটগুলো সরাতে চায়,যাতে তারা একতরফাভাবে জনগণের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে’।

১৯৯৯ সালে সংস্থায় প্রথম নির্বাচিত হয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট। তিনি গত নভেম্বরে ঘোষণা করেছিলেন, তিনি নতুন মেয়াদ চাইছেন।

রুহানি ২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পদ ছাড়ার পর থেকে তিনি তার উত্তরসূরি ইব্রাহিম রাইসির অতি-রক্ষণশীল প্রশাসন এবং ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের একজন কট্রর সমালোচক ছিলেন। যা ছিল তার অন্যতম প্রধান স্তম্ভ।

৮৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞদের অ্যাসেম্বলির কাজ ছিল নির্বাচন, তত্ত্বাবধান এবং প্রয়োজনে সর্বোচ্চ নেতাকে বরখাস্ত করা। তিনি ইরানের রাষ্ট্রীয় সব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধন্ত নেন।

এই পদে ১৯৮৯ সাল থেকে এখনো অধিষ্ঠিত আছেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। এখন তার বয়স ৮৪ বছর।