স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী : বঙ্গমাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) নয়দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে ১৯ মার্চ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সংবর্ধনা পাওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন মো. আব্দুল হাকিম (বীরপ্রতীক), মো. আব্দুর রশিদ, মো. উবায়দুল্লাহ, মো. আহসান হাবীব এবং মো. আব্দুল করিম। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দেশের কৃতী সন্তানদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন।

এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, তাঁরা অন্যায়, অত্যাচার ও অসত্যের কাছে মাথানত করেননি। আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। জাতির কৃতী সন্তানেরা দখলদারদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। ফলশ্রুতিতে আমরা স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি। এ অবস্থায় ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক ড. আব্দুস ছাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার ভট্টাচার্য।

এর আগে একাত্তরে রণাঙ্গণের নানা অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে স্মৃতিচারণামূলক আলোচনায় অংশ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

উল্লেখ্য, মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বঙ্গমাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে নয়দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। বিদ্যমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ২৬ মার্চ পর্যন্ত এসব কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।