ঢাকা ০৪:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ : প্রেস সচিব বাংলাদেশকে বিপদে ফেলার মত ভারতের অবস্থা নেই : ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বিপিএলের সেরা খেলোয়াড় মিরাজ ৪০-এর পর প্রথম গোল : রোনালদো পরবর্তী যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব বাজেভাবে হেরে যাবে : ইলন মাস্ক ইউএসএআইডি’র কর্মীদের ছুটিতে পাঠানোর ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত স্থগিত গাজার ধ্বংসস্তূপের নীচে ১২ হাজার লাশ বৃহত্তর স্বার্থে মুসলমানদের কুরআন ও সুন্নাহর ছায়াতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : ধর্ম উপদেষ্টা ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে চলবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নকলায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে এক নারীর মরদেহ

ঘোড়াধাপে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৯০ বস্তা চাল কালোবাজারে

জব্দ করা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল। ছবি : বাংলার চিঠি ডটকম

জব্দ করা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল। ছবি : বাংলার চিঠি ডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর ॥
জামালপুর সদর উপজেলার ঘোড়াধাপ ইউনিয়নে কালোবাজারে বিক্রি করা সরকারের ১০ টাকা কেজি মূল্যের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৯০ বস্তা চাল জব্দ করেছে সদর উপজেলা প্রশাসন। ১১ সেপ্টেম্বর রাতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম মাজহারুল ইসলাম এ অভিযান চালান। জব্দ করা চালগুলো এ কর্মসূচির ঘোড়াধাপ ইউনিয়নে নিয়োজিত ডিলার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মতিউর রহমানের বলে নিশ্চিত হয়েছে অভিযানকারী দলটি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডিলার মো. মতিউর রহমান ১১ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘোড়াধাপ ইউনিয়নের স্থানীয় সাবুর মোড়ে তার দোকানে হতদরিদ্রদের মাঝে চাল বিক্রি করেন। বিকেলের দিকে তিনি তার দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ চাল সরিয়ে ফেলেন। চালগুলো কালোবাজারে বিক্রি করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা সন্দেহ করেন। পরে স্থানীয়রা মুঠোফোনে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চিকিৎসক মফিজুর রহমানের কাছে অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও’র নির্দেশে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম মাজহারুল ইসলাম ও স্থানীয় নরুন্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম রাত নয়টার দিকে ওই ইউনিয়নের সাবুর মোড় এলাকায় অভিযান চালান। অভিযানের সময় স্থানীয় তিনটি পৃথক স্থান থেকে প্রতিবস্তা ৩০ কেজি ওজনের ১৯০ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। এর মধ্যে স্থানীয় ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন ওরফে বিলু মিয়ার বাড়ি থেকে ৮৭ বস্তা, সোলায়মান হোসেনের দোকান থেকে ২০ বস্তা এবং আবুল কালামের বাড়ি থেকে ৮৩ বস্তা চাল জব্দ করা হয়।

নির্বাহী হাকিম এস এম মাজহারুল ইসলাম বাংলার চিঠি ডটকমকে বলেন, জব্দ করা চালগুলো খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির। প্রাথমিকভাবে ডিলার মো. মতিউর রহমান তার বরাদ্দের চালগুলো কালোবাজারে বিক্রি করেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। জব্দকৃত চালগুলো স্থানীয় নরুন্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের হেফাজতে রাখা হয়েছে। ডিলার মতিউর রহমানসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ : প্রেস সচিব

ঘোড়াধাপে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৯০ বস্তা চাল কালোবাজারে

আপডেট সময় ১১:০৬:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮
জব্দ করা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল। ছবি : বাংলার চিঠি ডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর ॥
জামালপুর সদর উপজেলার ঘোড়াধাপ ইউনিয়নে কালোবাজারে বিক্রি করা সরকারের ১০ টাকা কেজি মূল্যের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৯০ বস্তা চাল জব্দ করেছে সদর উপজেলা প্রশাসন। ১১ সেপ্টেম্বর রাতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম মাজহারুল ইসলাম এ অভিযান চালান। জব্দ করা চালগুলো এ কর্মসূচির ঘোড়াধাপ ইউনিয়নে নিয়োজিত ডিলার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মতিউর রহমানের বলে নিশ্চিত হয়েছে অভিযানকারী দলটি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডিলার মো. মতিউর রহমান ১১ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘোড়াধাপ ইউনিয়নের স্থানীয় সাবুর মোড়ে তার দোকানে হতদরিদ্রদের মাঝে চাল বিক্রি করেন। বিকেলের দিকে তিনি তার দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ চাল সরিয়ে ফেলেন। চালগুলো কালোবাজারে বিক্রি করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা সন্দেহ করেন। পরে স্থানীয়রা মুঠোফোনে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চিকিৎসক মফিজুর রহমানের কাছে অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও’র নির্দেশে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম মাজহারুল ইসলাম ও স্থানীয় নরুন্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম রাত নয়টার দিকে ওই ইউনিয়নের সাবুর মোড় এলাকায় অভিযান চালান। অভিযানের সময় স্থানীয় তিনটি পৃথক স্থান থেকে প্রতিবস্তা ৩০ কেজি ওজনের ১৯০ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। এর মধ্যে স্থানীয় ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন ওরফে বিলু মিয়ার বাড়ি থেকে ৮৭ বস্তা, সোলায়মান হোসেনের দোকান থেকে ২০ বস্তা এবং আবুল কালামের বাড়ি থেকে ৮৩ বস্তা চাল জব্দ করা হয়।

নির্বাহী হাকিম এস এম মাজহারুল ইসলাম বাংলার চিঠি ডটকমকে বলেন, জব্দ করা চালগুলো খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির। প্রাথমিকভাবে ডিলার মো. মতিউর রহমান তার বরাদ্দের চালগুলো কালোবাজারে বিক্রি করেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। জব্দকৃত চালগুলো স্থানীয় নরুন্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের হেফাজতে রাখা হয়েছে। ডিলার মতিউর রহমানসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।