ঢাকা ০৭:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
প্রগতিশীলতা, অসাম্প্রদায়িকতা চর্চায় মির্জা সাহেব ও তার ‘সাপ্তাহিক তওফিক’ বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র পুরো সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার : জয়নুল আবদীন ফারুক পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৬০ বছরের ইতিহাসে পুলিশ এত বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়নি : পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম হাটচন্দ্রায় মাকে হত্যা, ছেলে গ্রেপ্তার ইসলামপুরে এক মাদরাসা শিক্ষক বহিষ্কার গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের মালিকানা কমানো হয়েছে : রিজওয়ানা ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালাতে চান নেতানিয়াহু, ট্রাম্পের না গাজা উপত্যকায় গত দিনে ইসরাইলি হামলায় ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত

মাদারগঞ্জে শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা, মেয়ের জামাই গ্রেপ্তার

শাশুড়িকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার রফিকুল ইসলাম। ছবি : বাংলার চিঠি ডটকম

শাশুড়িকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার রফিকুল ইসলাম। ছবি : বাংলার চিঠি ডটকম

জাহিদুর রহমান উজ্জ্বল, মাদারগঞ্জ ॥
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ২৭ আগস্ট রাত আটটার দিকে উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের বনজ গাছের বাগান থেকে বৃদ্ধা শাশুড়ি বানু বেওয়ার (৭০) মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৮ আগস্ট সকালে ওই বাগানের পাশের ডোবা থেকে বৃদ্ধার খণ্ডিত মাথাটিও উদ্ধার করা হয়েছে। ২৮ আগস্ট বিকেলে নিহত বৃদ্ধার ছোট মেয়ের জামাই জেলার মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের দিলালেরপাড়া গ্রামের মৃত মোজাফফর মন্ডলের ছেলে ঘাতক রফিকুল ইসলাম ওরফে ভান্ডারি দিপুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, নিহত ভানু বেওয়া জামালপুর সদর উপজেলার ইটাইল গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী। তার ছোট মেয়ে হোসনা বেগমের শ্বশুরবাড়ি জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের দিলালেরপাড়া গ্রামে। হোসনা বেগমের স্বামী রফিকুল ইসলাম ওরফে ভান্ডারি দিপু শাশুড়ি ভানু বেওয়াকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ২৬ আগস্ট দিলালেরপাড়ায় তার বাড়িতে নিয়ে আসেন। ২৬ আগস্ট রাত থেকেই ভানু বেওয়া নিখোঁজ হন। ২৭ আগস্ট রাত আটটার দিকে পুলিশ জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের একটি সেতুর পশ্চিম পাশের শুক্কুর আলীর বনজ গাছের বাগান থেকে ভানু বেওয়ার মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করলে তাকে হত্যার বিষয়টি জানাজানি হয়। ২৮ আগস্ট সকালে পুলিশ ওই বাগানের কাছেই একটি ডোবা থেকে বৃদ্ধার খণ্ডিত মাথাটিও উদ্ধার করেছে। পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে বৃদ্ধার লাশ ২৮ আগস্ট তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে।

এ দিকে শাশুড়ির ঘাতক রফিকুল ইসলাম ফোনে মাদারগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন। মাদারগঞ্জ সার্কেলের এসএসপি সামিউল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই ফোনের সূত্র ধরে ২৮ আগস্ট বিকেলে মাদারগঞ্জ উপজেলার কড়ইচূড়া ইউনিয়নের গুজামানিকা স্কুলের পাশে একটি বাড়ি থেকে ঘাতক রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রফিকুল ইসলাম তার স্ত্রী হোসনা বেগমের পরকিয়া প্রেমের বিষয়ে তার শাশুড়িকে জানানোর পরও কোনো প্রতিকার না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি শাশুড়িকে হত্যা করেছেন বলে স্বীকারুক্তি দিয়েছেন।

এ ঘটনায় নিহত বানু বেওয়ার বড় মেয়ে কমলা বেগম বাদী হয়ে রফিকুল ইসলামসহ অজ্ঞাত তিন-চারজনকে আসামি করে ২৮ আগস্ট মাদারগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। একই দিনে নিহত ভানু বেওয়ার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেপ্তার রফিকুল ইসলামকে ২৯ আগস্ট আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মাদারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদ আলী বাংলার চিঠি ডটকমকে বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তার বৃদ্ধার ছোট মেয়ের জামাই রফিকুল ইসলামকে ২৯ আগস্ট আদালতে হাজির করা হবে। এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

আপলোডকারীর তথ্য

প্রগতিশীলতা, অসাম্প্রদায়িকতা চর্চায় মির্জা সাহেব ও তার ‘সাপ্তাহিক তওফিক’

মাদারগঞ্জে শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা, মেয়ের জামাই গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৮:৪৯:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৮
শাশুড়িকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার রফিকুল ইসলাম। ছবি : বাংলার চিঠি ডটকম

জাহিদুর রহমান উজ্জ্বল, মাদারগঞ্জ ॥
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ২৭ আগস্ট রাত আটটার দিকে উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের বনজ গাছের বাগান থেকে বৃদ্ধা শাশুড়ি বানু বেওয়ার (৭০) মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৮ আগস্ট সকালে ওই বাগানের পাশের ডোবা থেকে বৃদ্ধার খণ্ডিত মাথাটিও উদ্ধার করা হয়েছে। ২৮ আগস্ট বিকেলে নিহত বৃদ্ধার ছোট মেয়ের জামাই জেলার মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের দিলালেরপাড়া গ্রামের মৃত মোজাফফর মন্ডলের ছেলে ঘাতক রফিকুল ইসলাম ওরফে ভান্ডারি দিপুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, নিহত ভানু বেওয়া জামালপুর সদর উপজেলার ইটাইল গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী। তার ছোট মেয়ে হোসনা বেগমের শ্বশুরবাড়ি জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের দিলালেরপাড়া গ্রামে। হোসনা বেগমের স্বামী রফিকুল ইসলাম ওরফে ভান্ডারি দিপু শাশুড়ি ভানু বেওয়াকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ২৬ আগস্ট দিলালেরপাড়ায় তার বাড়িতে নিয়ে আসেন। ২৬ আগস্ট রাত থেকেই ভানু বেওয়া নিখোঁজ হন। ২৭ আগস্ট রাত আটটার দিকে পুলিশ জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের একটি সেতুর পশ্চিম পাশের শুক্কুর আলীর বনজ গাছের বাগান থেকে ভানু বেওয়ার মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করলে তাকে হত্যার বিষয়টি জানাজানি হয়। ২৮ আগস্ট সকালে পুলিশ ওই বাগানের কাছেই একটি ডোবা থেকে বৃদ্ধার খণ্ডিত মাথাটিও উদ্ধার করেছে। পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে বৃদ্ধার লাশ ২৮ আগস্ট তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে।

এ দিকে শাশুড়ির ঘাতক রফিকুল ইসলাম ফোনে মাদারগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন। মাদারগঞ্জ সার্কেলের এসএসপি সামিউল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই ফোনের সূত্র ধরে ২৮ আগস্ট বিকেলে মাদারগঞ্জ উপজেলার কড়ইচূড়া ইউনিয়নের গুজামানিকা স্কুলের পাশে একটি বাড়ি থেকে ঘাতক রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রফিকুল ইসলাম তার স্ত্রী হোসনা বেগমের পরকিয়া প্রেমের বিষয়ে তার শাশুড়িকে জানানোর পরও কোনো প্রতিকার না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি শাশুড়িকে হত্যা করেছেন বলে স্বীকারুক্তি দিয়েছেন।

এ ঘটনায় নিহত বানু বেওয়ার বড় মেয়ে কমলা বেগম বাদী হয়ে রফিকুল ইসলামসহ অজ্ঞাত তিন-চারজনকে আসামি করে ২৮ আগস্ট মাদারগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। একই দিনে নিহত ভানু বেওয়ার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেপ্তার রফিকুল ইসলামকে ২৯ আগস্ট আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মাদারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদ আলী বাংলার চিঠি ডটকমকে বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তার বৃদ্ধার ছোট মেয়ের জামাই রফিকুল ইসলামকে ২৯ আগস্ট আদালতে হাজির করা হবে। এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’