প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা আমজাদ হোসেনের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, পরিবারের স্বজন ও শোভাকাঙ্ক্ষীরা। ছবি : আসমাউল আসিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: ১৪ ডিসেম্বর দেশবরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আমজাদ হোসেনের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। দিবসটি উপলক্ষে জামালপুরে ১৪ ডিসেম্বর সকালে মৌন শোভাযাত্রা, সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করে আমজাদ হোসেন চর্চা কেন্দ্র জামালপুর।

প্রয়াত চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন স্মরণে আমজাদ হোসেন চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে ১৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় জামালপুর শহরের বকুলতলা মোড় থেকে মৌন শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি কলেজ রোড হয়ে জামালপুর পৌর কবরস্থানে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে আমজাদ হোসেন চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী ও সাধারণ সম্পাদক সাযযাদ আনসারীর নেতৃত্বে সংগঠনটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, আমজাদ হোসেনের পরিবারের স্বজন ও শোভাকাঙ্ক্ষীরা আমজাদ হোসেনের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে সেখানে গুণী এই চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

আমজাদ হোসেন চর্চা কেন্দ্রের উপদেষ্টা প্রয়াত আমজাদ হোসেনের ভাই ফরহাদ হোসেন মানু, সহ-সভাপতি আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর সেলিম, মনোয়ার হুসেন মুরাদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম রাসেল, নাট্যকার আসাদুল্লাহ ফারজী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শামীম আহমেদ, আমজাদ হোসেনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুলসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

আয়োজকরা জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন একাধারে প্রখ্যাত চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব, দেশবরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রবীণ অভিনেতা ও সাহিত্যিক। তিনি শুধু বাংলাদেশের নয় সারা বিশ্বের সম্পদ। তাকে জানতে ও জানাতে এবং তার কর্ম ও সৃষ্টি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে আমজাদ হোসেন চর্চা কেন্দ্র জামালপুর। ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা জামালপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির বীর মুক্তিযোদ্ধা গীতিকার নজরুল ইসলাম বাবু মিলনায়তনে প্রয়াত এই গুণী চলচ্চিকার স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে অসুস্থ হয়ে ঢাকার ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি হন। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ওই বছরের ২৭ নভেম্বর ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৪ ডিসেম্বর ৭৬ বছর বয়সে তিনি ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।