বিমানের ড্যাশ ৮-৪০০ ধ্রুবতারা উড়োজাহাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৭ ডিসেম্বর বিমানের নতুন একটি উড়োজাহাজ ড্যাশ ৮-৪০০ ধ্রুবতারা’র উদ্বোধন করে বলেছেন, তাঁর সরকার উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আঞ্চলিক পর্যায়ে একটি সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যোগাযোগ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা আমাদের পার্শবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে একটি সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সেই সব বিমান ক্রয় করছি যেগুলো সব থেকে আধুনিক এবং উন্নতমানের। আর আজকে যে বিমানটি উদ্বোধন করতে যাচ্ছি তার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের পাশাপাশি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গেও আমরা যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সক্ষম হব।’

বাংলাদেশের চমৎকার ভৌগলিক অবস্থানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং যোগাযোগ বাড়াতে পারি তাহলে সবদিক থেকেই আমাদের উন্নতি হতে পারে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা ইতোমধ্যেই অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি। যার অংশ হিসেবে আজ এই নতুন উড়োজাহাজ ড্যাশ ৮-৪০০ এর উদ্বোধন করছি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৭ ডিসেম্বর বেলা ১১ টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই নতুন বিমানের উদ্বোধন করেন।

নতুন বিমানটির নাম তিনি ধ্রুবতারা রেখেছেন এবং নতুন আনা বিমানগুলোর নামকরণ দেশের প্রকৃতি ও পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তিনিই করেছেন, যে কাজে তাঁকে ছোট বোন শেখ রেহানা সহযোগিতা করেছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

যেগুলোর মধ্যে রয়েছে- পালকি, অরুণ আলো, আকাশ প্রদীপ, রাঙ্গা প্রভাত, মেঘদূত, ময়ুরপঙ্খী, আকাশবীনা, হংস বলাকা, গাঙ্গচিল, রাজ হংস, অচিনপাখি, সোনারতরি। আর আজ যেটা উদ্বোধন করতে যাচ্ছি সেটা ধ্রুবতারা, বলেন তিনি।

‘ধ্রুবতারা’ আমাদেরকে দিক নির্দেশনা দেয় উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছি আর ২০২১ সালে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত হবে। কাজেই, এরসঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ধ্রুবতারা নামটি পছন্দ করেছি। নামগুলোর পছন্দ করায় আমাকে সহযোগিতা করেছেন আমার ছোট বোন শেখ রেহানা।’
করোনাভাইরাস এসে আমাদের সবকিছু ওলটপালট করে দিয়েছে, সমস্ত কর্মকান্ডকে স্থবির করে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সকলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখতে আমরা বাধ্য হচ্ছি। এটা শুধু বাংলাদেশের নয় সমগ্র বিশ^ব্যাপীই এই সমস্যাটা হচ্ছে।

তিনি এ সময় নতুন বিমান আনায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ বিমানের পদক্ষেপকে ‘অত্যন্ত সাহসী’ আখ্যায়িত করে সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সদস্যগণ, সচিব এবং বাংলাদেশ বিমানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং উর্ধ্বতন সামরিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।

গণভবণ থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।সূত্র:বাসস।