মাদারগঞ্জের পিআইও জাহিদ বরখাস্ত

বরখাস্ত পিআইও প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন

জাহিদুর রহমান উজ্জল, মাদারগঞ্জ থেকে
বাংলারচিঠিডটকম

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ব্রীজ ও রাস্তা নির্মাণ কাজের দরপত্র বিক্রির ১০ লাখ টাকা টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) প্রকৌশলী জাহিদ হোসেনকে তার চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। তার এই দুর্নীতি নিয়ে গত ২৯ আগস্ট বাংলারচিঠিডটকমে খবর প্রকাশিত হয়।

তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে ১৫ নভেম্বর ওই অধিদপ্তরের উপসচিব পদমর্যাদার একজন উপপরিচালক স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে। ১৬ নভেম্বর রাতে বিষয়টি জানাজানি হলেও ওই প্রজ্ঞাপনটি এখনো হাতে পাননি বলে জানিয়েছেন মাদারগঞ্জের ইউএনও।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন-১) লুৎফুন নাহার স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা গেছে, জামালপুরের মাদারগঞ্জের পিআইও জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে বিগত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত সেতু-কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের দরপত্রের শিডিউল বিক্রির সিংহভাগ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। অধিদপ্তরের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দল পিআইও জাহিদ হাসানের অর্থ আত্মসাতের সত্যতা পেয়েছে। পিআইও জাহিদ হাসান ওই প্রকল্পের এক হাজার ১৩টি শিডিউল বিক্রির মোট ১৫ লাখ ১৯ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে সরকারি কোষাগারে মাত্র পাঁচ লাখ ১৯ হাজার টাকা জমা করেন। অবশিষ্ট ১০ লাখ ৫০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না করে আত্মসাৎ করেন।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, পিআইও জাহিদ হোসেনের উল্লিখিত আচরণ ২০১৮ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার ৩(খ) ধারায় অসদাচরণ ও ৩(ঘ) ধারায় দুর্নীতি পরায়ণতার পর্যায়ভূক্ত অপরাধ। এ কারণে ২০১৮ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার বিধি-১২ অনুযায়ী পিআইও জাহিদ হোসেনকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। একই সাথে তাকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ঢাকাস্থ প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তাকে বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতাসহ অন্যান্য ভাতাদি প্রদান করা হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবুল মনসুর বলেন, আমিও শুনেছি যে দুর্নীতির অভিযোগে পিআইও জাহিদ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত জারি করা প্রজ্ঞাপনের কোনো পত্র এখনও হাতে পাইনি। প্রজ্ঞাপন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।