বকশীগঞ্জে কোরবানির গরু নিয়ে বিপাকে খামারি শাহীন খান

খামারি শাহীন খানের এই গরুটি ৩ লাখ টাকা চাওয়া হলেও চাহিদার তুলনায় হাঁকাননি ক্রেতারা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু পালন করে আসছিলেন বকশীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খামারিরা।

কোরবানির ঈদে বেশি দামে বিক্রির আশায় করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বেশি দামে গো-খাদ্য খাইয়েছেন খামারিরা।

ফলে ঈদের আগে সঠিক দামে গরুগুলো বিক্রি করতে না পারলে লোকসানের হিসাব গুণতে হবে খামারি ও গরু মালিকদের।

তবে ঈদের আর কয়েকদিন বাকি থাকলেও গরু ক্রেতাদের দেখা পাচ্ছেন না খামারি মালিকরা। ফলে এবার গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খামার মালিক। তেমনি একজন খামার মালিক শাহীন খান।

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারও সাধুরপাড়া ইউনিয়নের খান পাড়া গ্রামের “খান এগ্রো ডেইরি ফার্ম” এর মালিক শাহীন খান গরু মোটাতাজকারণের লক্ষ্যে নিজ খামারে গরু পালন করতে শুরু করেন।

তার খামারে ছোট বড় মিলিয়ে ২৪টি গরু কোরবানির জন্য পালন করা হয়। গো-খাদ্যের উচ্চমূল্য থাকা সত্ত্বেও লাভের আশায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পরামর্শক্রমে গরু মোটাতাজারনের কাজ শুরু করেন শাহীন খান।

বর্তমানে তার খামারে ১৫টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত থাকলেও ক্রেতাদের দেখা মিলছে না। স্থানীয় নঈম মিয়ার বাজার, বকশীগঞ্জ গরুর হাট সহ বেশ কয়েকটি গরুর হাটে বিক্রির জন্য নিয়ে গেলেও হাটগুলোতেও ক্রেতার দেখা মেলেনি। শুধু তাই নয় গ্রাম পর্যায়ের ক্রেতাও নেই এবার।

শাহীন খানের খামারে পড়ে আছে অবিক্রিত গরু। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

একদিকে করোনাভাইরাস অন্যদিকে বন্যার কারণে গরু ক্রয়ের ক্রেতা নেই বললেই চলে। ফলে শাহীন খানের মত অনেক খামারি হতাশায় পর্যদুস্ত হয়ে পড়েছেন।

এ ব্যাপারে খান এগ্রো ডেইরি ফার্মের মালিক শাহীন খান জানান, এ বছর দেশে করোনাভাইরাস আসার পর থেকেই খামারিদের দুর্দশা শুরু হয়েছে। এদিকে গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় গরু পালনের খরচও বেড়ে গেছে দ্বিগুণ।

ফলে এবার ভালো দামে গরু বিক্রি করতে না পারলে লোকসানে পড়তে হবে আমাদের কিন্তু ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও দুই একজন ক্রেতা আসেন তারা চাহিদার তুলনায় অর্ধেক দাম হাঁকিয়ে চলে যান। একারণে আমাদের গরু বিক্রি করা সম্ভব হয় না।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার পাল জানান, এ বছর বকশীগঞ্জ উপজেলায় ১১ হাজার ৫০০ গবাদি পশু কোরাবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

করোনা ও বন্যার কারণে অনেক খামারি তাদের কোরবানিযোগ্য পশু বিক্রি করতে পারছে না তবে জেলা প্রশাসন থেকে অনলাইনের মাধ্যমে অনেক গরু বিক্রি হচ্ছে।

বকশীগঞ্জের ২০টি খামারের তথ্য অনলাইনে দেওয়া হয়েছে। আশাকরি ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাবে।