বকশীগঞ্জে বাঁশের সাঁকো নির্মাণের পর ৯ মাস পর সচল হলো সেতু

উত্তর ধাতুয়া কান্দা গ্রামের সেতুর সংযোগ অংশে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অধিদপ্তরের অর্থায়নে নির্মিত একটি সেতুর সংযোগ না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। কিন্তু ৯ মাস পর সেই সেতুর দু’পাশে বাঁশের সাঁকো দিয়ে সংযোগ তৈরি করায় সেতুটি আবার সচল হয়েছে।

৭ জুন সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু নিজ অর্থায়নে সাঁকোটি নির্মাণ করে দেওয়ায় মানুষের চলাচল ফের স্বাভাবিক হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের উত্তর ধাতুয়া কান্দা গ্রাম থেকে আলীরপাড়া গ্রামের রাস্তার নূরুজ্জামানের বাড়ি সংলগ্ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে সেতুটি নির্মাণ করা হয়।

সেতুটি নির্মাণের পর ২০১৯ সালের জুলাই মাসের ভয়াবহ বন্যায় সেতুটির পলেস্তারা খসে যায় এবং সেতুটি দেবে যায়। একই সঙ্গে সেতুর দুই পাশের মাটি সড়ে গিয়ে সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

একারণে এই সেতুর উপর দিয়ে মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেতুটির দুই পাশে মাটি ভরাটের উদ্যোগ না নেওয়ায় র্দীঘ ৯ মাস সেতুটি অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকে। এমতাবস্থায় সেতুটি কার্যত অচল হয়ে পড়ে।

এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু ওই সেতুর দুই পাশে সংযোগ তৈরি করতে বাঁশের সাঁকো নির্মাণের উদ্যোগ নেন। ৭ জুন বাঁশের সাঁকো নির্মাণের পর সেতুটি আবার সচল হয়। মানুষের চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়।

এ বিষয়ে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু জানান, গত বছরের ভয়াবহ বন্যার কারণে সেতুটির দুই পাশে মাটি সড়ে গিয়ে সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এতে করে মানুষের চলাচল ব্যাপক বাধাগ্রস্ত হয়। তাই এলাকার মানুষ ও শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে নিজ উদ্যোগেই সেতুটির দুই পাশে সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে।