২৮ মে শেরপুর সফর করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

১৯৪৮ সালের ২৮ মে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান শেরপুর সফর করেছিলেন। এদিন শহরে প্রগতিশীল মুসলিম লীগের আয়োজনে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় জি কে (গোবিন্দ কুমার) স্কুল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ওই সভায় আলতাফউদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন তৎকালীন ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান, পূর্ব বাংলার সংসদ সদস্য মাওলানা আব্দুল হামিদ খান, জহিরউদ্দিন আহমেদ, ফখরুদ্দীন আহমেদ, শামসুল হক প্রমুখ। আর সভাটির আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন খন্দকার আব্দুল হামিদ এবং অন্যরা।

২৮ মে দুপুরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ওয়েব সাইট সংগ্রামের নোটবুক ডট কম ভিজিট করার সময় ওই ওয়েব সাইটটির আর্কাইভের পাকিস্তানী গোয়েন্দা নথিতে বঙ্গবন্ধু (১৯৪৮) শেরপুরে শেখ মুজিব অংশ থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

সংগ্রামের নোটবুক ডট কম সূত্রে জানা যায়, ওই সভায় আলোচকরা ক্ষতিপূরণ ছাড়া জমিদারী প্রথার বিলোপ, বিনা বেতনে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, শেরপুর-জামালপুর ডিবি রোড পুনর্গঠন এবং সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের জন্য প্রদেয় অর্থ কমানোর দাবি তুলেন। এছাড়া তৎকালীন সময়ে পূর্ব পাকিস্তানে মুসলিম লীগের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়। সভায় হিন্দু এবং মুসলমান মিলে ৬০০ জন মানুষ উপস্থিত ছিল।

এ সম্পর্কে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড শেরপুর শাখার সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আইনজীবী ফকির আখতারুজ্জামান বলেন, ১৯৪৮ সালে তিনি এক থেকে দেড় বছর বয়সী ছিলেন। তাই ওই বিষয়ে বিষদভাবে তিনি কিছু জানেননা। তবে তৎকালীন সময়ে অনুষ্ঠিত সভার সভাপতি আলতাফউদ্দিনের স্থলে আফতাফউদ্দিন হতে পারে বলে তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, দেশ স্বাধীনের পর স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের লিখিত দাবির প্রেক্ষিতে শেরপুরকে ৬১তম জেলা হিসাবে ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু। যা ওই সময়ে দৈনিক ইত্তেফাক প্রত্রিকায় প্রকাশ হয়।