বকশীগঞ্জ শহরে জনসমাগম বেড়েছে, স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা!

বকশীগঞ্জে সামাজিক দূরত্ব না মেনে এভাবেই হাট-বাজারগুলোতে মানুষের সমাগম বেড়ে গেছে। পৌর শহরের পুরাতন গরুহাটি থেকে ছবিটি তোলা হয়েছে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় না থাকায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে মানুষ। এছাড়াও পৌর শহররে আগের তুলনায় জনসমাগম বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে গত ৭ এপ্রিল থেকে জামালপুর জেলা লকডাউন চলছে। করোনাভাইরাসের কারণে প্রথম দিকে প্রশাসনের কড়াকড়ির কারণে শহর ও বাজারগুলো জনশূন্য থাকলেও গত এক সপ্তাহ ধরে বাজারগুলোতে মানুষের সমাগম বেড়ে গেছে। লকডাউন ভেঙে জীবিকার তাগিদে মানুষ ঘর থেকে রাস্তা ও মাঠে ঘাটে বের হতে শুরু করেছে। বকশীগঞ্জ শহরের পুরাতন গরুহাটিতে রবিবার ও বৃহস্পতিবার হলে তিল ধারণের ঠাই থাকে না।

এ ছাড়াও বকশীগঞ্জের সর্ববৃহৎ নঈম মিয়ার বাজারে সামাজিক দূরত্বেও কোন বালাই নেই। বিশেষ করে যারা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রামে ফিরেছেন তারাও হাট-বাজারগুলোতে বিচরণ করছেন।

বকশীগঞ্জ থেকে জেলা শহরের যোগাযোগ বৃদ্ধিতে বাস সার্ভিস ছাড়া সব ধরণের যান চলাচল অব্যাহত আছে। খোলা বাজারে বেচাকেনা চলছেই।

বকশীগঞ্জ শহর ছাড়াও কামালপুর বাজার, বাট্টাজোড় নতুন বাজার, সারমারা বাজার, নিলক্ষিয়া বাজার, জব্বারগঞ্জ বাজার বিনোদেরচর বাজারসহ কয়েকটি বাজারে জনসমাগম ও মানুষের উপস্থিতি বেড়ে গেছে। এতে করে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইন না মানার কারণে জরিমানা করা হলেও মানুষের সমাগম ঠেকানো যাচ্ছে না। তবে স্থানীয় প্রশাসন মানুষকে নিরাপদে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

স্থানীয়রা বলছেন প্রশাসন কঠোর না হলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে না। আর তা সম্ভব না হলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়বে।