বকশীগঞ্জে মাস্টার রোলে নাম থাকলেও ত্রাণ দেয়নি চেয়ারম্যান

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীনদের মাঝে ত্রাণ বিতরণে বকশীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এলবাট মিয়ার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভূয়া মাস্টার রোল তৈরি করে ত্রাণ উত্তোলন করা হয়েছে এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

অনিয়মের অভিযোগ এনে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

অভিযোগে জানা গেছে, গত ১১ এপ্রিল বকশীগঞ্জ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. এলবাট মিয়া তার ঝালরচর গ্রামের নিজ বাড়িতে কর্মহীন ও দুঃস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।

এ সময় ঝালরচর পশ্চিম পাড়া গ্রামের আব্দুর রউফ, হুমায়ুন মিয়া, রাশেদা বেগম, আবদুল লতিফসহ কয়েকজন চেয়ারম্যানের কাছে ত্রাণ চান। ত্রাণের মাস্টার রোলে তাদের নাম থাকলেও তাদেরকে ত্রাণ দেন নি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এলবাট মিয়া।

ত্রাণ চাওয়ায় উল্টো চেয়ারম্যান এলবাট মিয়া ও তার সহযোগী খোরশেদ আলম মিলে ত্রাণ প্রার্থী হুমায়ুন মিয়াকে সবার সামনে মারধর করেন।

শুধু হুমায়ুন, আব্দুর রউফ নয় ঝালরচর পশ্চিম পাড়া গ্রামের ২৪ জনের নামে ভূয়া মাস্টার রোল তৈরি করে ত্রাণের চাল গায়েব করা হয়েছে।

মাস্টার রোলে যাদের নাম রয়েছে তাদের কারো কাছেই স্বাক্ষর বা টিপসই নেওয়া হয়নি।

ঝালরচর পশ্চিম পাড়া গ্রামের ত্রাণ বঞ্চিতরা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে বিষয়টি জানালে তিনি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন।

ঝালরচর পশ্চিম পাড়া গ্রামের হুমায়ুন মিয়া জানান, মাস্টার রোলে তার নাম থাকলেও (সিরিয়াল নং ২৪৫) ভূয়া টিপসই দিয়ে তার নামের চাল গায়েব করা হয়েছে।

অথচ তিনি স্বাক্ষর দিতে জানেন বলে জানান হুমায়ুন মিয়া। এভাবে ২৪ জনের ভূয়া টিপসই দিয়ে চালগুলো গায়েব করেছেন এলবাট মিয়া।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ও মারধর করার বিচার দাবি করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাসান মাহবুব খানের নিকট ১৩ এপ্রিল দুপুরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ত্রাণ না পাওয়া ঝালরচর পশ্চিম পাড়া গ্রামের ত্রাণ বঞ্চিতরা।

তবে বকশীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. এলবাট মিয়া তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাসান খান জানান, ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।