বকশীগঞ্জে করোনা আতঙ্কে ১০ বাড়ি লকডাউন

বকশীগঞ্জ-শ্রীবরদী উপজেলার সকল সড়ক বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার পর রাস্তায় এভাবেই দাঁড়িয়ে চলাচল না করার অনুরোধ করছেন বকশীগঞ্জ থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় করোনাভাইরাসের আতঙ্ক বেড়ে গেছে মানুষের মধ্যে। পাশ্ববর্তী শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় এক নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় এই আতঙ্ক চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানামুখি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

শ্রীবরদী উপজেলার সাথে বকশীগঞ্জ উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। রাস্তা বন্ধ করে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ এবং গ্রাম পুলিশের সদস্যদের।

৬ এপ্রিল দুপুর ১২টায় বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ. স. ম. জামশেদ খোন্দকার শ্রীবরদী হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া দুই বাড়ির ১০টি পরিবারকে লকডাউন ঘোষণা করেছেন।

জানা গেছে, ৫ এপ্রিল শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন আয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে পুরো উপজেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার মাঝপাড়া গ্রামের হামিদুর রহমানের দুই বছরের মেয়ে এবং একই গ্রামের তারেক মিয়ার দেড় বছর বয়সি ছেলে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে যায়। ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়া করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর হামিদুর রহমানের মেয়ে ও তারেক মিয়ার ছেলেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।

যেহেতু ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন আয়া কোরানায় আক্রান্ত হয়েছে তাই ওই হাসপাতালের রোগীরাও করোনা সংক্রমিত হতে পারেন।

খবর পেয়ে ৬ এপ্রিল দুপুর ১২টায় বকশীগঞ্জ ইউএনও আ. স. ম. জামশেদ খোন্দকার মাঝ পাড়া গ্রামে গিয়ে ওই হামিদুর রহমান ও তারেক মিয়ার বাড়ির ১০টি পরিবারকে লকডাউন ঘোষণা করেন।

লকডাউন ঘোষণার পর ওই দুই বাড়ি ও আশপাশের বাড়ির লোকজনদের বাড়ির বাইরের না যাওয়া এবং বাধ্যতামূলক ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ প্রদান করা হয়।