কর্মহীন বেঁদে পরিবারের কাছে ত্রাণ নিয়ে ছুটে গেলেন বকশীগঞ্জের ইউএনও

বেদে পল্লীতে ত্রাণ বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ. স. ম. জামশেদ খোন্দকার। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জীবিকার তাগিদে সাভার থেকে ছুটে এসেছেন জামালপুরের বকশীগঞ্জে। বগারচর ইউনিয়নের সারমারা গ্রামে বেঁদে পল্লী স্থাপন করেছেন ১৯ টি বেঁদে পরিবার।

সারাদিন সাপ খেলা দেখিয়ে যা আয় হয় তা দিয়েই সংসার চালাতো তারা। কিন্তু হঠাৎ করে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হলে এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ে।

সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে সীমিত চলাচল ও সব ধরনের সভা, জনসমাগম নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে বেকায়দার পড়ে যান বেঁদে পল্লীর লোকজন।

কয়েকদিন ধরে গ্রামে গিয়ে জনসমাগম করে সাপ খেলা দেখাতে না পারায় আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যায় বেঁদে সম্প্রদায়ের সদস্যদের। তাই বলে জীবন তো আর থেমে থাকে না। অনেকটাই অনিশ্চিয়তার মধ্যে দূর্বিষহ অবস্থায় পরিবারের শিশু সহ নারীদের দিনানিপাত করতে হচ্ছে তাদের।

বেঁদে পরিবারের এমন কষ্টের খবর পেয়ে ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় সারমারা বেঁদে পল্লীতে ছটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ. স. ম. জামশেদ খোন্দকার।

সেই বেঁদে পল্লীতে ১৯ টি পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, হাফ লিটার তেল, ১ পেকেট লবন ও ২ কেজি আলু সহ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন ইউএনও আ. স. ম. জামশেদ খোন্দকার।

ইউএনও’র এমন মানবিক ভূমিকায় আশ্চর্য হয়ে যান বেঁদে পরিবারের লোকজন। তিনি আশ্বস্ত করেন সরকার এই দুঃসময়ে কর্মহীনদের মাঝে রয়েছে।