সাংবাদিককে তথ্য না দেওয়ায় শেরপুর টিটিসি’র অধ্যক্ষকে তথ্য কমিশনে তলব

শেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ শামছুর রহমান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

আবেদনকারীকে তথ্য না দেওয়ায় শেরপুরের নকলায় অবস্থিত শেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) অধ্যক্ষ শামছুর রহমানকে তলব করেছে তথ্য কমিশন। স্থানীয় সাংবাদিক শফিউল আলম লাভলুর করা অভিযোগের ভিত্তিতে আগামী ৭ এপ্রিল তথ্য কমিশন অফিসে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ১২ মার্চ তথ্য কমিশনের গবেষণা কর্মকর্তা রাবেয়া হেনা এ নির্দেশ দেন।

কমিশনের আদেশে বলা হয়, টিটিসির অধ্যক্ষের কাছে মৌখিকভাবে ২০১৭/১৮ ও ২০১৮/১৯ অর্থ বছরের টিটিসির বিভিন্ন খাতে সরকারি প্রকল্পে বরাদ্দ কত ও কোন কোন খাতে সেই বরাদ্দকৃত টাকা ব্যয় করা হয়েছে এবং বর্তমানে কি কি মেশিনারি টুলস মজুদ, সচল ও অচলের তথ্য চেয়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেন মুভি বাংলা টিভির নকলা উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক শফিউল আলম লাভলু।

পরে মহাপরিচালক, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো, আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে গত বছরের ১ ডিসেম্বরে ওই আবেদনকারী আপিল করেন। কিন্তু ওই আপিল আবেদনের জবাব না পাওয়ায় আবেদনকারী তথ্য কমিশন বরাবরে টিটিসি’র অধ্যক্ষ শামছুরর হমানের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর ধারা ২৫ এর অধীনে লিখিত অভিযোগ করেন। যার অভিযোগ নং- ১৩/২০২০। ওই অভিযোগ তথ্য কমিশন আমলে নিয়ে টিটিসি’র অধ্যক্ষকে আগামী ৭ এপ্রিল শুনানিতে অংশগ্রহণ করার জন্য সমন জারি করেন। একই সঙ্গে টিটিসি’র অধ্যক্ষ শামছুর রহমান তথ্য কমিশনে উপস্থিত না হলে, তার অনুপস্থিতিতেই অভিযোগের শুনানি হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।

আভিযোগকারী সাংবাদিক শফিউল আলম লাভলু বলেন, উপজেলার গণপদ্দিতে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দের টাকা নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতেই তথ্য চেয়েছি। কিন্তু টিটিসি’র অধ্যক্ষ শামছুর রহমান কোনো তথ্য দেননি। এ কারণে ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তথ্য কমিশনে একটি আবেদন করি।

তথ্য কমিশন থেকে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) অধ্যক্ষ শামছুর রহমান জানান, তিনি কমিশনের কাছে ১৫ দিনের সময় চেয়েছেন। তিনি বলেন, সাংবাদিক লাভলু বিশ হাজার টাকা চাঁদা চেয়েছিল। দেইনি বলে এমন করেছে। চাঁদা দাবি করলে আপনি আইনগত কোন ব্যবস্থা নিয়েছিলেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ওই সময় আমি ও সাংবাদিক লাভলু ছাড়া আর কেউ না থাকায় তা প্রমাণ করতে পারবো না বলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিনি। তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাইলে কেন তথ্য দিলেন না এর উত্তরে তিনি বলেন, এটা অফিসের গোপনীয় বিষয় তাই আমি সেই তথ্য দেইনি।