বকশীগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়ায় ইমামকে পেটালো আওয়ামী লীগনেতা

আহত মাওলানা মো. নূর নবী বকশীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর বকশীগঞ্জ উপজেলায় পাওনা টাকা চাওয়ায় মাওলানা মো. নূর নবী নামে একজন ইমামকে রড দিয়ে পিটিয়েছে এক আওয়ামী লীগনেতা ও তার ভাইয়েরা। আহত ইমামকে তাকে বকশীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

৭ জানুয়ারি বিকালে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের দাসের হাটবাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বকশীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেন নি।

হামলার শিকার মাওলানা নূর নবী উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের মাঝেরপাড়া গ্রামের মৃত মফিজুল হকের ছেলে। তিনি একই ইউনিয়নের খেতারচর বটতলা জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে কর্মরত। তিনি দাসের হাটবাজারে একটি ওষুধের ফার্মেসিও রয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও খানপাড়া গ্রামের ভুলখানের ছেলে ফারুক খানের চাচাতো ভাই লাল ফকির খান ৭ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে চারটার দিকে দোকানটিতে যান। এ সময় ওষুধের বকেয়া টাকা চাইলে নুরনবীর সাথে তর্কাতর্কি হয় লাল ফকিরের।

কিছুক্ষণ পর ফারুক খানের নেতৃত্বে ১০/১২ জন দোকানের ভেতরে ঢুকে মাওলানা নূর নবীকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে যায়। স্থানীয়রা মাওলানা নূর নবীকে উদ্ধারকরে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

পরে রাতে আটজনকে আসামিকে করে বকশীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মাওলানা নূর নবী ।

সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবু বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘ফারুক খানের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তার নেতৃত্বে এলাকায় বিভিন্ন স্থানে অপকর্ম হচ্ছে বলে স্বীকার করেন তিনি। ইমামকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় জড়িতদের সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান।’

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হযরত আলী বলেন বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমি নিজে ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে ৭ জানুয়ারি রাতে ফারুক খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করায় বাদী মাওলানা নূর নবীর ভাই জিন্নাহ মোল্লাকে হুমকি দিয়েছেন ফারুক খানের লোকজন।

৮ জানুয়ারি দুপুরে দাসের হাট বাজারে জিন্নাহ মোল্লাকে হুমকি দিয়ে অভিযোগ প্রত্যহারের চাপ দেন।