আদর্শ বীজতলা তৈরিতে আগ্রহ বাড়ছে নকলার কৃষকদের

নকলার কৃষকদের একটি আদর্শ বীজতলা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

শফিউল আলম লাভলু, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরের নকলা উপজেলায় আদর্শ বীজতলা বীজ খরচ সাশ্রয় করেছে ও ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে। তাই ধান চাষিরা আদর্শ বীজতলার দিকে ঝুঁকে পড়েছেন এবং দিনদিন আগ্রহ বাড়ছে এ এলাকার কৃষকের। আদর্শ বীজতলা তৈরি করতে উপজেলা কৃষি বিভাগ কৃষকদের দিয়ে যাচ্ছন নিয়মিত পরামর্শ। ফলে কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এই বীজতলা তৈরিতে বীজ কম লাগে ও রোপণের সময় চারা সাশ্রয় হচ্ছে। এ চারা দিয়ে লাইন লোগো পদ্ধতিতে ধান রোপণ করে গত কয়েক বছর ধরে ভালো ফলনও পাচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। এতে বীজ খরচ কম হয়। বীজ তলায় রোগ বালাই নেই। জমিতে ধান রোপণে চারা কম লাগছে। ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে কৃষক লাভবান হচ্ছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী দুই হাত চাওড়া করে আদর্শ বীজতলা করছি। প্রতি বীজতলার চারপাশে একফুট নালা রাখছি। এতে আমরা ভাল মানের চারা তৈরি করছি। ভাল মানের চারা পাচ্ছি এবং উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেছেন স্থানীয় কৃষকরা।

আগাছা দমন, সার প্রয়োগ, সেচ দেওয়া, বালাই দমন সহজ হয় এবং সুস্থ সবল চারা উৎপাদন হয়। হিসাব মতে একশতক বীজতলার চারা দিয়ে প্রায় ২০ শতক ধানের জমি রোপণ করা যায়। এ কারণে মাত্র একটি বা দুটি চারা দিয়ে একটি গোছা তৈরি করা যায় বলে জানালেন উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস বলেন, আদর্শ বীজতলার ওপরে কোন বাড়তি পানি জমা হতে পারে না। প্রতিটি চারা সমানভাবে আলো, বাতাস, সার ও পানি পায়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জনিয়েছে, এ বছর এ উপজেলার ৭৫২ হেক্টর বীজতলার মধ্যে ১৮০ হেক্টর জমিতে আদর্শ বীজতলা করেছে কৃষক। যা গত বছরের চেয়ে বেশি।