জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে সেবা বিষয়ে সনাকের মতবিনিময়

মতবিনিময় সভায় সনাক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে জামালপুর সচেতন নাগরিক কমিটি-সনাক ও টিআইবি’র এক মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৩ জানুয়ারি সকালে হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সহকারী পরিচালকের কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বক্তারা বিদ্যমান অবস্থায় এই হাসপাতালটিতে পর্যাপ্ত জনবলের অভাবসহ নানা সমস্যার কারণে রোগীদের যথাযথ সেবা প্রদান কঠিন হচ্ছে বলে মতামত দেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়াও মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জামালপুর সনাক এর সভাপতি অধ্যাপক মীর আনছার আলী, সনাক এর স্বাস্থ্য বিষয়ক উপকমিটির আহবায়ক সাংবাদিক শফিক জামান, সনাক সদস্য অধ্যাপক মো. আব্দুল হাই প্রমুখ। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক চিকিৎসক মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় হাসপাতালের চলমান চিত্র উপস্থাপন করে বক্তারা বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা, ঝুঁকি ও উত্তরণের উপায় নিয়ে সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন। সনাক এর স্বাস্থ্য বিষয়ক উপকমিটির আহবায়ক সাংবাদিক শফিক জামান তার স্বাগত বক্তব্যে জামালপুর সদরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সাথে সনাককে কাজ করার সুযোগ দেওয়ায় তিনি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।

মতবিনিময় সভায় নিয়ম বহির্ভূত অর্থ আদায়, ডিউটি রোস্টার অনুযায়ী ডাক্তারের উপস্থিতি নিশ্চিত করা, ওষুধের সহজলভ্যতা ও প্রতিদিনের ওষুধের তথ্য হালনাগাদ করা, শূন্য পদে নিয়োগ, ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেলকে আরো সক্রিয় করা, তথ্য রেজিস্টার চালু ও অভিযোগ নিষ্পত্তির কৌশল প্রকাশ, হেল্প ডেস্ক কার্যকর করা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা চিকিৎসক মো. ফেরদৌস হাসান বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় হাসপাতালে কর্মী ও চিকিৎসকের সংখ্যা কম। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৩৪টি শূন্য পদ থাকলেও এখন তা বেড়ে ৪২টি হয়েছে। পাশাপাশি কম জনবলের কারণে হাসপাতালে রোগীদের দেখতে আসা দর্শনার্থীদের মোকাবিলা করতে হিমশিম খেতে হয়। ফলে মানসম্মত চিকিৎসা দেওয়া কঠিন হচ্ছে।

সভায় সনাক সভাপতি অধ্যাপক মীর আনছার আলী বলেন, বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালের সেবার মান আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। জামালপুর সনাক এ ক্ষেত্রে যে সহযোগী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকবে। সবার সম্মিলিত চেষ্টা থাকলে সেবার মান আরো বাড়ানো যাবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক চিকিৎসক মো. সিরাজুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতার থেকে বেশি রোগী এখানে চিকিৎসা নিতে আসে। সনাক এর মাধ্যমে যে সমস্যা দৃষ্টিগোচর হয় তা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। তিনি জানান, সেবা দানের প্রতিবন্ধকতা সনাক ধরিয়ে দেওয়ায় তা কাজের ক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধ করে। সনাক এর এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

হাসপাতালের সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনায় উল্লেখিত বিষয়গুলো ছাড়াও বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রে পৌরসভাকে সম্পৃক্ত করা এবং শূন্য পদ পূরণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটি সভায় আলোচনার বিষয়টি প্রাধান্য দেওয়া হয়।