ঢাকা ০৩:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ তহবিল চালু ঝিনাইগাতীতে পানিতে নিখোঁজ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার অধিকার রক্ষায় শেরপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত জামালপুরে বিদ্যুৎ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নতুন কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামে ওয়ারেছ আলী মামুন সংবর্ধিত নদী ভাঙনের কবল থেকে মসজিদ ফসলি জমি রক্ষার দাবিতে বকশীগঞ্জে মানববন্ধন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি সভা করেছে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন জামাল পাশা, শাহেদ আলী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার ব্যস্ততা চলছে মাদারগঞ্জের প্রতিমাশিল্পীদের, ২৭ মণ্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি দেওয়ানগঞ্জে উপহারের বেশির ভাগ ঘরের দরজায় ঝুলছে তালা

এবার সঙ্কটের মুখে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : ইমরান খানের পর এবার সঙ্কটের মুখে পড়েছেন তার নিয়োজিত প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি। প্রেসিডেন্ট জানেন না, অথচ এমন দুটি বিলে তার স্বাক্ষর হয়ে গেছে। তা আইনে পরিণত হয়েছে। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি নিজের সেক্রেটারি ওয়াকার আহমেদকে সরিয়ে দেন।

তার জায়ঘায় হুমায়রা আহমেদ নামে একজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু আলভির সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন হুমায়রা। স্বেচ্ছায় নাকি তাকে চাপ দিয়ে কাজে যোগ দেয়া থেকে বিরত রাখা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সোমবার প্রেসিডেন্ট আলভি প্রধানমন্ত্রীর অফিসকে অনুরোধ করেন ওয়াকার আহমেদকে তার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি হিসেবে প্রত্যাহার করে নিতে এবং তার স্থানে গ্রেড-২২ ডিএমজি অফিসার হুমায়রা আহমেদকে নিয়োগ দিতে। বর্তমানে জাতীয় প্রত্নতাত্তিক ও সাংস্কৃতিক বিভাগে ফেডারেল সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করছেন হুমায়রা। কিন্তু তিনি প্রেসিডেন্টের সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বলে বলা হচ্ছে।

এর আগে, অফিসিয়াল সিক্রেটস (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৩ এবং পাকিস্তান আর্মি (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৩ নামের দুটি বিলে প্রেসিডেন্ট আলভি স্বাক্ষর করেননি বলে জানান। অথচ ওই বিলে তার স্বাক্ষর হয়ে চলে গেছে। কীভাবে তা হয়েছে কেউ বলতে পারছেন না। তবে কি প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর নকল করা হয়েছে! নকল করে এই বিলে তার স্বাক্ষর দেয়া হয়েছে। যদি হয়ে থাকে, তাহলে সেই কাজ কে করেছে! এ ফাইল তো সর্বসাধারণের নাগালের বাইরে থাকার কথা। তবে কি ওয়াকার আহমেদ এর সঙ্গে জড়িত। প্রেসিডেন্ট ওয়াকারকে সরিয়ে দেয়ার অনুরোধ করেছেন। এতেই ধরে নেয়া যায় যে, এ ঘটনার সঙ্গে ওয়াকার জড়িত থাকতে পারেন।

দুটি বিলে সই করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির পদত্যাগ দাবি করেছে দেশটির দুই শরিকদল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। তবে প্রেসিডেন্টর কাছ থেকে বিল দুটি ১০ দিনের মধ্যে ফেরত না পাওয়ায় তা আইনে পরিণত হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির তত্ত্বাবধায়ক আইনমন্ত্রী। সোমবার এক টুইটে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি জানান, প্রস্তাবিত ‘আইন দুটির সঙ্গে একমত না হওয়ায়’ তিনি বিল দুটিতে সই করেননি। এর পরপরই তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানায় দুল দুটি। সূত্র: জিও নিউজ।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ তহবিল চালু

এবার সঙ্কটের মুখে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট

আপডেট সময় ০৩:০৬:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অগাস্ট ২০২৩

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : ইমরান খানের পর এবার সঙ্কটের মুখে পড়েছেন তার নিয়োজিত প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি। প্রেসিডেন্ট জানেন না, অথচ এমন দুটি বিলে তার স্বাক্ষর হয়ে গেছে। তা আইনে পরিণত হয়েছে। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি নিজের সেক্রেটারি ওয়াকার আহমেদকে সরিয়ে দেন।

তার জায়ঘায় হুমায়রা আহমেদ নামে একজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু আলভির সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন হুমায়রা। স্বেচ্ছায় নাকি তাকে চাপ দিয়ে কাজে যোগ দেয়া থেকে বিরত রাখা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সোমবার প্রেসিডেন্ট আলভি প্রধানমন্ত্রীর অফিসকে অনুরোধ করেন ওয়াকার আহমেদকে তার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি হিসেবে প্রত্যাহার করে নিতে এবং তার স্থানে গ্রেড-২২ ডিএমজি অফিসার হুমায়রা আহমেদকে নিয়োগ দিতে। বর্তমানে জাতীয় প্রত্নতাত্তিক ও সাংস্কৃতিক বিভাগে ফেডারেল সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করছেন হুমায়রা। কিন্তু তিনি প্রেসিডেন্টের সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বলে বলা হচ্ছে।

এর আগে, অফিসিয়াল সিক্রেটস (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৩ এবং পাকিস্তান আর্মি (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৩ নামের দুটি বিলে প্রেসিডেন্ট আলভি স্বাক্ষর করেননি বলে জানান। অথচ ওই বিলে তার স্বাক্ষর হয়ে চলে গেছে। কীভাবে তা হয়েছে কেউ বলতে পারছেন না। তবে কি প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর নকল করা হয়েছে! নকল করে এই বিলে তার স্বাক্ষর দেয়া হয়েছে। যদি হয়ে থাকে, তাহলে সেই কাজ কে করেছে! এ ফাইল তো সর্বসাধারণের নাগালের বাইরে থাকার কথা। তবে কি ওয়াকার আহমেদ এর সঙ্গে জড়িত। প্রেসিডেন্ট ওয়াকারকে সরিয়ে দেয়ার অনুরোধ করেছেন। এতেই ধরে নেয়া যায় যে, এ ঘটনার সঙ্গে ওয়াকার জড়িত থাকতে পারেন।

দুটি বিলে সই করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির পদত্যাগ দাবি করেছে দেশটির দুই শরিকদল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। তবে প্রেসিডেন্টর কাছ থেকে বিল দুটি ১০ দিনের মধ্যে ফেরত না পাওয়ায় তা আইনে পরিণত হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির তত্ত্বাবধায়ক আইনমন্ত্রী। সোমবার এক টুইটে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি জানান, প্রস্তাবিত ‘আইন দুটির সঙ্গে একমত না হওয়ায়’ তিনি বিল দুটিতে সই করেননি। এর পরপরই তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানায় দুল দুটি। সূত্র: জিও নিউজ।