জামালপুর পাবলিক লাইব্রেরির তালা খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন

জামালপুর পাবলিক লাইব্রেরির তালা খুলে পুনরায় চালু করা দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: ‘উন্মুক্ত হোক প্রাণের পাঠাগার’ এ শ্লোগান সামনে রেখে দীর্ঘদিন যাবত তালাবদ্ধ ও অচলাবস্থায় থাকা জামালপুর পাবলিক লাইব্রেরি পুনরুজ্জীবীত, পাঠোপযোগী ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার দাবিতে মানববন্ধন করেছে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখা। ২৯ জানুয়ারি জামালপুর শহরের বকুলতলা সংলগ্ন পাবলিক লাইব্রেরির সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম। এতে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী ইমাম দুলাল, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন জেলা শাখার উপদেষ্টা প্রবীণ সাংবাদিক উৎপল কান্তি ধর, বিশিষ্ট কবি আলী জহির, বিশিষ্ট রাজনীতিক আমির উদ্দিন, সংস্কৃতি কর্মী সাযযাদ আনসারী, বিটিভির সাংবাদিক মোস্তফা বাবুল, কালের কণ্ঠের সাংবাদিক মোস্তফা মনজু, এস এ টিভির সাংবাদিক ফজলে এলাহী মাকাম, পাথালিয়া গুয়াবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সানিয়া সুলতানা, সমাজকর্মী রাসেল মিয়া, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মাহমুদ প্রমুখ। মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিল্লুল সরকার।

জামালপুর পাবলিক লাইব্রেরির তালা খুলে পুনরায় চালু করা দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

বক্তারা এক সপ্তাহের মধ্যে পাবলিক লাইব্রেরির তালা খুলে দেওয়া, অনতিবিলম্বে নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা, লাইব্রেরির সীমানা প্রাচীর মেরামত করাসহ নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা, পুরাতন বইগুলো বাঁধাই করা, নতুন বই সংগ্রহ করা, পাঠকদের আকৃষ্ট করতে নানামুখী প্রচারণা শুরু করা, লাইব্রেরিয়ান, পিয়নের দীর্ঘদিনের বকেয়া বেতন পরিশোধসহ নানা দাবি করেন। দাবি পূরণ না করা হলে স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলারও ঘোষণা দেওয়া হয় মানববন্ধন থেকে।

মানববন্ধনে কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, ছাত্র, শিক্ষকসহ বইপ্রেমী শতাধিক নারী, পুরুষ অংশ নেন।

উল্লেখ্য, দেড় শতাধিক বছরের প্রাচীন অনেক ইতিহাস, ঐতিহ্যের সাক্ষী জামালপুর পাবলিক লাইব্রেরিতে ৩৪ হাজার বই আছে। অযত্ন, অবহেলা এবং প্রশাসনের দায়িত্ব অবহেলার কারণে বইগুলো নষ্ট হচ্ছে বলে সূত্র জানায়।