মেষ্টায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক নারী ধর্ষণের শিকার

ছবিটি প্রতীকী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের আড়ংহাটি গ্রামের এক ভিক্ষুক পরিবারের তালাকপ্রাপ্তা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে নিজ বাড়িতে ধর্ষণের শিকার হন তিনি। তাকে ধর্ষণের অভিযোগে ২১ ডিসেম্বর প্রতিবেশী রাজমিস্ত্রি রেজাউল করিমকে আসামি করে জামালপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ২২ ডিসেম্বর সকালে ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অভিযুক্ত রেজাউল করিম একই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই নারীর বাড়ি সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের আড়ংহাটি গ্রামে। তার বয়স আনুমানিক ২০ বছর। তিনি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ায় সম্প্রতি তার স্বামী তাকে তালাক দেন। তালাকের পর থেকে তিনি বাবার বাড়িতেই থাকেন। তার বাবা-মা দুজনেই ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে প্রতিবেশী রেজাউল করিম (২৫) ওই নারীর কাছে গিয়ে গল্প শুরু করেন। একপর্যায়ে ওই নারীকে তাদের শোবার কক্ষে নিয়ে গিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন রেজাউল। বিকেলে ওই নারীর বাবা-মা বাড়িতে এলে তাদের কাছে ঘটনাটি জানান ওই নারী। তারা এলাকার মাতব্বরদের জানালে আপস-মীমাংসার নামে কালক্ষেপণ করা হয়। অবশেষে ২১ ডিসেম্বর ধর্ষণের শিকার ওই নারীর সহোদর ভাই বাদী হয়ে রেজাউল করিমকে আসামি করে জামালপুর সদর থানায় মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে রেজাউল পলাতক রয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ এ প্রতিবেদককে বলেন, সদরের মেষ্টা ইউনিয়নের আড়ংহাটি গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওই নারীকে নিয়ে তার স্বজনরা ২১ ডিসেম্বর বিকেলে থানায় অভিযোগ দেন। ওই নারীর ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর জন্য ওই নারীকে ২১ ডিসেম্বর বিকেলে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২২ ডিসেম্বর সকালে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে তিনি হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন। মামলাটির একমাত্র আসামি রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।