যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সুরুজ্জামানকে আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি

অধ্যাপক মো. সুরুজ্জামান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে দলীয় শৃংখলা পরিপন্থি কার্যকলাপের অভিযোগে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. সুরুজ্জামানকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। একই সাথে তাকে দল থেকে কেন বহিষ্কার করা হবে না মর্মে সাতদিনের মধ্যে লিখিত জবাবও দিতে বলা হয়েছে। ১৩ নভেম্বর দলীয় প্যাডে অধ্যাপক মো. সুরুজ্জামানকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক পত্র সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত ওই পত্র সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. সুরুজ্জামান তার ফেসবুক আইডিতে দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বহিষ্কৃত নেতা দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র শেখ মো. নূর নবী অপুকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দেখতে চাই উল্লেখ করেও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন অধ্যাপক মো. সুরুজ্জামান।

দলের গরুত্বপূর্ণ পদে আসীন থেকে এই ধরনের কর্মকাণ্ড দলের জন্য বিব্রতকর, অসাংগঠনিক ও সংগঠনের শৃংখলা পরিপন্থি বলে মো. সুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এ অবস্থায় সংগঠনের শৃংখলা ফিরিয়ে আনার স্বার্থে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭ (৯) ধারা মোতাবেক অধ্যাপক মো. সুরুজ্জামানকে আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সাথে তাকে দল থেকে কেন বহিষ্কার করা হবে না মর্মে সাতদিনের মধ্যে লিখিত জবাবও দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে সুপারিশ করার কথাও ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে অব্যাহতি প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. সুরুজ্জামান বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, আমার ফেসবুক আইডি থেকে দল ও দলের সম্মানিত নেতাদের বিরুদ্ধে কোনো স্ট্যাটাস দেই নাই। আমার যে স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে ওই স্ট্যাটাসের একটি শব্দ ও বাক্যও দলের বিরুদ্ধে লিখিনি। দলের পক্ষে লিখেছি। দলীয় নেতারা ওই স্ট্যাটাস নিয়ে হয়তো আমাকে ভুল বুঝছেন। আমি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী। ওই স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে আমাকে এভাবে চিঠি দিতে পারেন না তারা। আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। আমি অচীরেই অব্যাহতি পত্রের জবাব দিবো। বিষয়টি নিয়ে আমি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদেরও দ্বারস্থ হবো।