জামালপুরের দুই পুলিশ কনস্টেবল ও এক আসামি নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: ঢাকা-টাঙ্গাইল-জামালপুর সড়কের টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার বাইঘাট এলাকায় ২৪ অক্টোবর রাতে জামালপুরগামী পুলিশবহনকারী মাইক্রোবাস ও ঢাকাগামী মালবাহী একটি ট্রাকের সংঘর্ষে দু’জন পুলিশ কনস্টেবল এবং একজন হাজতি আসামি নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের একজন এসআই ও একজন হাজতি আসামি গুরুতর আহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনায় নিহত পুলিশ কনস্টেবল নুরুল ইসলাম (৪৫) ময়মনসিংহ জেলার দাপুনিয়া এলাকার মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে, পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা (৩০) টাঙ্গাইল জেলার সিংগুড়িয়া এলাকার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে এবং হাজতি আসামি লালন মিয়া (২৪) জামালপুর সদর উপজেলার রশিদপুর ইউনিয়নের গজারিআটা গ্রামের মো. আবুল হোসেনের ছেলে।

পুলিশ সূত্র জানায়, জামালপুর সদরের নারায়ণপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মো. আজিজুল হক নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার দুই হাজতি আসামি লালন মিয়া ও লতিফ ওরফে মামুনের ডিএনএ পরীক্ষা করানোর জন্য ২৪ অক্টোবর তারা মাইক্রোবাসে করে ঢাকায় মহাখালী সিআইডি অফিসে যান। কাজ শেষে ২৪ অক্টোবর রাতে তারা একই মাইক্রোবাসে জামালপুরে ফিরছিলেন। রাত আনুমানিক ৮টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-জামালপুর সড়কের মধুপুর উপজেলার বাইঘাট এলাকায় ঢাকাগামী একটি মালবাহী ট্রাকের সাথে তাদের মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে মাইক্রোবাসযাত্রী পুলিশ কনস্টেবল নুরুল ইসলাম ও আসামি লালন মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া এসআই আজিজুল হক, কনস্টেবল সোহেল রানা ও হাজতি আসামি লতিফকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে কনস্টেবল সোহেল রানা ২৪ অক্টোবর রাতেই ওই হাসপাতালে মারা যান।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ এ প্রতিবেদককে জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত কনস্টেবল নুরুল ইসলাম ও হাজতি আসামি লালন মিয়ার মরদেহ টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে এবং কনস্টেবল সোহেল রানার মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ২৫ অক্টোবর ময়নাতদন্ত শেষে তিনজনের মরদেহ জামালপুরে আনা হবে। এরপর আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মাইক্রোবাস ও ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসচালক সাইফুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সদর থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।