মেলান্দহে গৃহবধূ ও ভেকু চালকের লাশ উদ্ধার

মেলান্দহ উপজেলার দুটি ইউনিয়ন থেকে উদ্ধার করা দুটি মরদেহ একই ভ্যানগাড়িতে। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার দুটি ইউনিয়ন থেকে একজন গৃহবধূ ও ভেকু চালকের ফাঁসিতে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে মেলান্দহ থানা পুলিশ। ৭ মে দুপুরে উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের পাহাড়িপটল গ্রামে শ্বশুরবাড়ির রান্নাঘরের আড়ায় ঝুলন্ত গৃহবধূ চায়না বেগমের (২২) এবং একই উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের কাজাইকাটা গ্রামে নিজ বাড়ির পাশের গাছে ঝুলন্ত ভেকুচালক আনিছের (২৩) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত গৃহবধূ চায়না বেগম জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার শ্যামগঞ্জ কালিবাড়ি এলাকার সোহরাব আলীর মেয়ে। তার স্বামী লেমন মিয়া মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের পাহাড়িপটল গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আলফাজ উদ্দিনের ছেলে। লেমন মিয়া ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানির চাকরি ছেড়ে বেশকিছু দিন ধরে বাড়িতেই থাকতেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রায়ই তার স্বামী তাকে শারীরিক নির্যাতন করতেন। এই দম্পতির একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ৭ মে সকালে চায়নাকে রান্না ঘরের আড়ায় ঝুলে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা। এ সময় তার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি কেউ বাড়িতে ছিলেন না। খবর পেয়ে মেলান্দহ থানা পুলিশ দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ জামালপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

অপরদিকে একই দিন দুপুরে একই উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের কাজাইকাটা গ্রামের নিজ বাড়ির পাশে বনজগাছ বাগানের গাছে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় আনিছ (২৩) নামের ভেকুচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে মেলান্দহ থানা পুলিশ। আনিছ ওই গ্রামের শরবেশ আলীর ছেলে। মরদেহ উদ্ধারের সময় তার গায়ে কোন আঘাতের ক্ষত পাওয়া যায়নি। তিনি স্ক্যাবেটর গাড়ি চালিয়ে মাটিকাটার কাজ করতেন। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহটিও মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম ময়নুল ইসলাম বলেন, চায়না ও আনিছের মৃত্যুর ঘটনাটিকে রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। মরদেহ দুটি জামালপুরে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর তাদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।