শেরপুরে স্কুল শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে দর্জি কারাগারে

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর, বাংলারচিঠিডটকম: সেলাইয়ের কাজ শেখানোর কথা বলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক দর্জিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। ওই দর্জির নাম আব্দুস সামাদ (৫৫)। ঘটনাটি ঘটে ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কুড়িকাহনীয়া ইউনিয়নের জিনিয়া বাজারের বিশু সুপার মার্কেটের সামাদের টেইলার্সের দোকানে।

পরে এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা রশিদ মিয়া বাদী হয়ে শ্রীবরদী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এর পরপরই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে ২০ ফেব্রুয়ারি বিকালে আদালতে পাঠায়। পরে আদালত শুনানী শেষে সামাদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।

অভিযুক্ত আব্দুস সামাদ শেরপুর সদর উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের বাসিন্দা। সে ওই গ্রামের মৃত বাহের মাহমুদের ছেলে। সামাদ শ্রীবরদীর জিনিয়া বাজারের বিশু সুপার মার্কেটে দর্জি ব্যবসার সাথে জড়িত।

ভিকটিম জানায়, তার বাড়ি উপজেলার চিথলিয়া গ্রামে। এবং পূর্ব জিনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। পার্শ্ববর্তী জিনিয়া বাজারের বিশু সুপার মার্কেটে দর্জি আব্দুস সামাদের দোকানে সে নিয়মিত জামা কাপড় তৈরি করতো। এ সুবাদে তাদের মধ্যে সখ্যতা হয়। ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সেলাইয়ের কাজ শেখানোর কথা বলে সামাদ তাকে দোকানে ডেকে নিয়ে যায়।

পরে নানা প্রলোভন দিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুস সামাদকে গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনায় ওই দিন রাতে তার বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীবরদী থানার ওসি তদন্ত আবুল হাশিম জানান, ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা জেলা সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। সেই সাথে আদালত আব্দুস সামাদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।