নকলায় পরীক্ষামূলকভাবে ২০ জাতের বিদেশী আলু চাষ

শফিউল আলম লাভলু, নকলা প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম : শেরপুরের নকলা উপজেলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) বীজ আলু উৎপাদন জোনের আওতায় মাল্টিলোকেশন ট্রায়াল প্রদর্শনী প্লটের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে ২০টি জাতের বীজআলুর চাষ করা হয়েছে। উপজেলার বানেশ্বর্দী ইউনিয়নের বানেশ্বর্দী গ্রামের চাষী মো. শামসুজ্জামান জুয়েল তার ২ একর জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে এই আলুর জাতগুলো চাষ করেন। জাতগুলো হল- টুইনার, বারি ৩৭, সানসাইন, ফন্টেইন, বারি ৩৫, বারি ৪১, আডাটো, বারি ৭৯, শান্তানা, এডিসন, এস্টারিক্স, ডোনাটা, এভারেস্ট, ক্যারোলাস, গ্র্যানোলা, এলুইটি, প্রিমাভেড়া, অ্যালকেন্ডার, মিউজিকা ও ডায়মন্ড।

মানসম্মত বীজ আলু উৎপাদন সংরক্ষণ এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোড়দারকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের ৩০টি জোনের প্রদশর্নীর মধ্যে নকলা জোনে একটি। ১ ডিসেম্বরে বীজআলু মাঠে রোপণ করা হয়েছে। প্রতিটি গাছে প্রচুর আলু ধরেছে। এসব আলু ৭৫-৮০ দিন বয়সে উত্তোলন করা হবে বলে জানান স্থানীয় চাষী।

উপজেলার বানেশ্বর্দী গ্রামের আলু চাষী শামসুজ্জামান জুয়েল বলেন, বিএডিসি হিমাগার নকলার কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে আমি ২ একর জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ২০টি জাতের উচ্চ ফলনশীল বীজআলু চাষ করেছি। উৎপাদনও অনেক ভালো আশা করছি। বিএডিসি হিমাগামের কর্মকর্তাগণও নিয়িমিত মাঠ পরিদর্শন করে সঠিক পরামর্শ প্রদান করছেন। আশা করি ভাল ফলন পাব এবং চাষী পর্যায়ে উচ্চ ফলনশীল আলু চাষে আগ্রহ সৃষ্টি হবে।

বিএডিসি হিমাগার নকলা জোনের উপসহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, এই জাতগুলো সবই উচ্চ ফলনশীল। আমরা নিয়মিত চাষীকে পরামর্শ দিচ্ছি এবং মাঠ পরিদর্শন করিতেছি। আশা করছি ফলন খুবই ভাল হবে এবং চাষী পর্যায়ে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। এই জাতগুলোর মধ্যে যেগুলো উৎপাদনে ভাল হবে সেগুলো বিএডিসি’র আলু বীজ হিমাগারের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে সরবরাহ করা হবে এবং বিদেশে রপ্তানীযোগ্য আলু চাষ করে চাষী আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে।

বিএডিসি হিমাগারের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া আলু চাষের জন্য অনেকটা উপযোগী। বিএডিসি হিমাগার নকলার বাস্তবায়নে ২০২১-২০২২ উৎপাদন মৌসুমে প্রদর্শনী প্লট স্থাপন ও মাল্টি লোকেশন পারফরমেন্স যাচাইয়ের জন্য ২০টি জাতের উচ্চ ফলনশীল শিল্পে ব্যবহার ও বিদেশে রপ্তানীযোগ্য আলু চাষ করা হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছি এবং কৃষককে নিয়মিত পরামর্শও দিয়ে যাচ্ছি। এসব উৎপাদিত আলুর কোয়ালিটি যাচাই করে কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে, যাতে চাষী আলু চাষে লাভবান হয়।