ওয়ার্ল্ড ভিশনের ৫০ বছর উদযাপনে জামালপুর এপির উদ্যোগে কম্বল বিতরণ

জামালপুরে ওয়ার্ল্ড ভিশনের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে কেক কাটা হয়। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর, বাংলারচিঠিডটকম: বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ, মানবিক ও শিশুবান্ধব বেসরকারি আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনার ৫০ বছরপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে জামালপুর সদর উপজেলায় অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লরেন্স লিটুস চিরান। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের এনএসভিসি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক অসীম চ্যাটার্জি।

উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে আলোচনায় অংশ নেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা ইয়াসমিন লিটা, উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, সহকারী পরিচালক কর্মসূচি মুর্শেদ ইকবাল, জেলা ব্র্যাক সমন্বয়কারী মনির হোসেন খান, জামালপুর পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর নাসরিন বেগম, তরঙ্গ মহিলা কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শামীমা খান, অপরাজেয় বাংলাদেশের কেন্দ্র ব্যবস্থাপক আশরাফুল ইসলাম, তিরুথা-বামুনপাড়া গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মিয়ার উদ্দিন মাস্টার, পাথালিয়া গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান, রামনাগর গ্রাম উন্নয়ন কমিটির কোষাধ্যক্ষ আব্দুল হালিম চৌধুরী প্রমুখ।

১ হাজার ৫০টি দরিদ্র পরিবারের শিশুদের মাঝে উন্নতমানের কম্বল বিতরণ করা হয়। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের এরিয়া প্রেগামের ব্যবস্থাপক সাগর ডি কস্তা। সভার শুরুতেই সঞ্চালক সংস্থাটির বাংলাদেশে স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে পুনর্বাসন কার্যক্রম থেকে শুরু করে ৫০ বছরে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের ওপর ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করেন।

জামালপুরে ওয়ার্ল্ড ভিশনের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লরেন্স লিটুস চিরান।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

আলোচনা সভা শেষে ওয়ার্ল্ড ভিশনের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে কেক কাটা হয়। এরপর ওয়ার্ল্ড ভিশন ও উন্নয়ন সংঘ কর্তৃক বাস্তবানাধীন এরিয়া প্রোগ্রামের আওতায় জামালপুর সদর উপজেলা ও পৌরসভার ১ হাজার ৫০টি দরিদ্র পরিবারের শিশুদের মাঝে উন্নতমানের কম্বল বিতরণ করা হয়।

জানা যায়, ওয়ার্ল্ড ভিশন জামালপুরে উন্নয়ন সংঘের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে জামালপুর জেলায় এপি, এনএসভিসি, বিংগস, ওয়াস প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এসব প্রকল্পের আওতায় প্রায় এক লাখের মতো পরিবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বহুমাত্রিক উপকার ভোগ করছে।