জামালপুরে সিটিজেন ভয়েজ এন্ড অ্যাকশন বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন

জামালপুরে উন্নয়ন সংঘের উদ্যোগে এপির সিভিএ ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর, বাংলারচিঠিডটকম: নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ উচ্চারিত করা এবং অধিকার আদায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে উন্নয়ন সংঘের এরিয়া প্রোগ্রাম (এর) আওতায় জামালপুরে সিটিজেন ভয়েজ এন্ড অ্যাকশন (সিভিএ) বিষয়ে দিনব্যাপী এক ওরিয়েন্টেশন কোর্স অনুষ্ঠিত হয়। জামালপুর পৌরসভার রশিদপুর ইজ্জাতুননেছা উচ্চবিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ওরিয়েন্টেশনে সভাপতিত্ব করেন পৌরসভার ১০ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহিনূর রহমান।

২৪ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত কোর্স উদ্বোধনী বক্তৃতা করেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম। এতে অন্যান্যের মাঝে আলোচনায় অংশ নেন মাইনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হারিফ, সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন, গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান, ধমীয় নেতা মো. হাবিবুল্লাহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধি বদরুজ্জামান, হামিদা বেগম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ধারণায়ন করেন উন্নয়ন সংঘের এপি ব্যবস্থাপক মিনারা পারভীন ও সঞ্চালনা করেন সিডিও মারিও মুক্তি মন্ডল।

অনুষ্ঠানে গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সদস্য, নগর উন্নয়ন কমিটির সদস্য, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও উন্নয়ন সংঘের প্রতিনিধিসহ ৪৮ জন অংশ নেন।

সূত্র জানায়, অনুষ্ঠিত ওরিয়েন্টেশনে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্ঠনীর আওতায় সুবিধাবঞ্চিত নাগরিকদের সরকারি ভাতা সম্পর্কে বিশেষ করে ভাতা প্রাপ্তির বিভিন্ন কৌশল ও উপায় সম্পর্কে অবহিতকরণ, নাগরিকদের বিভিন্ন অধিকার সম্পর্কে ধারণা প্রদান, বিদ্যালয়ে থেকে শিশু শিক্ষার্থী ঝরেপড়া রোধ, শিশুদের বিদ্যালয়ে প্রবেশাধীকার নিশ্চিত করা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, শিশুশ্রম প্রতিরোধের উপায় ও করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

ওরিয়েন্টেশন সূত্র জানায়, উন্নয়ন সংঘ কর্তৃক এরিয়া প্রোগ্রামটি জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর, শরীফপুর ইউনিয়ন এবং জামালপুর পৌরসভার ১, ১০, ১১, ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় ৩৯টি গ্রামে ১৯ হাজার ৪৮৬ জন উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। কর্মসূচির সকল কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ নিয়ে গ্রাম উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কার্যক্রমের মধ্যে জীবীকায়ন, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, ওয়াস ও স্পন্সরশীপ অন্যতম। এরমধ্যে আবার খানা জরিপ, দক্ষতা উন্নয়ন, পরিবেশ সম্মত গ্রাম প্রতিষ্ঠা, জিঙ্ক ধান উৎপাদন, অতিদারিদ্রের উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দল গঠন, সক্ষমতার বিকাশ ঘটানো, প্রসবপূর্ব ও প্রসব পরবর্তী সেবা, শিশু অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, বিপদাপন্ন শিশুর তালিকা তৈরিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। কর্মসূচি বাস্তবায়নে অর্থায়ন করছে হংকং ।