শেরপুরে পৃথক ঘটনায় শিশু ও এক কৃষকের লাশ উদ্ধার

লাশ লাশসুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরে পৃথক ঘটনায় জান্নাতি নামে এক শিশু (৬) ও বিশু মিয়া (৪৫) নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ২৮ জুলাই ওই দুটি লাশ উদ্ধার হয়। নিহত জান্নাতি জেলার শ্রীবরদীর গোসাইপুর ইউনিয়নের পূর্ব মাটিয়াকুড়া গ্রামের জাফর মিয়ার মেয়ে। অন্যদিকে বিশু মিয়া ঝিনাইগাতীর নলকুড়া ইউনিয়নের উত্তর ভারুয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে।

পুলিশ জানায়, ২৮ জুলাই দুপুরে জান্নাতি বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে যায়। সাঁতার না জানায় এ সময় পুকুরের পানিতে তলিয়ে যায় সে। পরে পার্শ্ববর্তী বাড়ির শিশুদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তার মা পুকুর পাড়ে এসে ডাক চিৎকার করতে থাকে। এ সময় স্থানীয়রা পুকুরে নেমে জান্নাতির লাশ উদ্ধার করে।

অন্যদিকে ২৭ জুলাই রাত ১০টার দিকে রাতের খাবার শেষে ছেলে খোকনকে খুঁজতে বের হয় বিশু মিয়া। এক পর্যায়ে রাত গভীর হয়ে আসলেও বিশু বাড়ি ফিরে না আসায় স্ত্রী মোর্শেদা বেগম এবং মেয়ে আরিফা আক্তার তাকে খুঁজতে বাইরে বের হয়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত ৩টায় বাড়ির পাশে রাস্তা সংলগ্ন ধানক্ষেতে মৃতবস্থায় উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখে বিশুকে।

বিষয়টি ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ অবহিত হয়ে ওসি (তদন্ত) সারোয়ার, এসআই সাজেদুল কবিরসহ সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা ২৮ জুলাই ভোরে তার লাশ উদ্ধার করে।

নিহতের মেয়ে আরিফা আক্তার জানান, টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়ে তার ভাই খোকনের সাথে একই গ্রামের হযরত আলীর ছেলে জিয়াউর রহমানের মধ্যে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি পরিকল্পিত হত্যা না স্বাভাবিক মৃত্যু তা এখনও বলা যাচ্ছে না।

কৃষকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) আফরোজা নাজনীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঝিনাইগাতী থানার ওসি ফয়জুর রহমান।

অন্যদিকে শ্রীবরদী থানা পুলিশের ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, কোনো অভিযোগ দায়ের না হওয়ায় শিশু জান্নাতির মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।