মেলান্দহে প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ করে অন্তঃসত্ত্বার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

মো. মুত্তাছিম বিল্লাহ, মেলান্দহ থেকে
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ঝাউগড়া পূর্বপাড়ার স্বামী পরিত্যাক্তা বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী (৩০) মেয়েকে একই গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে মোদি দোকানদার হাবিল (৪২) জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। রহিম উদ্দিনের ছেলে অভিযুক্ত হাবিলকে ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করেছে মেলান্দহ থানা পুলিশ।

জানা গেছে, স্ত্রীর সাংসারিক কাজের সহযোগিতার কথা বলে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করিয়ে নেন দুই সন্তানের জনক অভিযুক্ত হাবিল মিয়া। কিছু দিন পূর্বে হাবিল ধানের কাজের জন্য স্ত্রীসহ মেয়েটিকে ধান ক্ষেতে নিয়ে যায়। স্ত্রী বাড়িতে এলে কৌশলে সেখানেই ধর্ষণ করে অভিযুক্ত হবিল মিয়া।

ধর্ষনের কয়েক মাস পেরিয়ে গেলে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যাওয়ার বিষয়টি পরিবারের অন্য সদস্যদের নজরে আসে। গর্ভ ক্রমেই বাড়তে থাকলে ধর্ষীতা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে জানাজানি হলে অসুস্থ মেয়েটিকে জেনারেল হাসপালতালে নিয়ে যায়। পরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে জামালপুর মাতৃসদন হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসক সমস্ত কথা ও আলামত দেখে ও পরীক্ষা করে তাকে ৫/৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বর্তমানে অসহায় অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটি রোগে-শোকে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে জীবন মরণ সন্ধিক্ষণে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন আছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, আমরা আজ যা শুনছি তা আমাদের এলাকা ও মানবতাকে নিচু করে দিয়েছে। এর সুষ্ঠু বিচার কামনা করি।

এদিকে অভিযুক্ত হাবিল মিয়া জানায়, প্রতিবন্ধী মেয়েটাকে দিয়ে আমার বাড়ির কাজ করাতাম এবং সব সময় খাবার ও টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করে আসতাম। এখন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। এ অভিযোগ মিথ্যা।

ঝাউগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঞ্জুমনোয়ারা বলেন, দোষী যেই হোক, আইনের আওতায় তার সুষ্ঠু বিচার করা হবে।

এমন অসহায় পরিবারের প্রতিবন্ধীর ওপর পশুসুলভ যে পাষন্ড আচারণ করেছে তাকে আইনে আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী, সুধীমহল, মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

মেলান্দহ থানার ওসি এম ময়নুল ইসলাম জানান, প্রতিবন্ধী ধর্ষণের ঘটনার মেয়ের মা বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এবং অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত হাবিল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।