প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে সম্মানের সাথে বাঁচার অধিকার দিয়েছেন : মির্জা আজম

শ্রমিকলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মির্জা আজম এমপি। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাবিশ্বে অনন্য এক নেত্রী। যিনি গত ৪০ বছরের মধ্যে ২১ বছর লড়াই সংগ্রাম করে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসিয়েছেন ১৯৯৬ সালে। এরপর ফের টানা তিনবার দলকে ক্ষমতায় এনে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। আমরা ছিলাম অতিদ্ররিদ্রতম বাংলাদেশের নাগরিক। কিন্তু বারবার ক্ষমতায় আসার কারণেই বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত করে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে আসতে পেরেছেন তিনি। আজকে আমাদের দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি হয়েছে, বেড়েছে মানমর্যাদা। দেশের মানুষকে সম্মানের সাথে বাঁচার অধিকার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় প্রাঙ্গণে ২ জানুয়ারি দুপুরে অনুষ্ঠিত জাতীয় শ্রমিকলীগ জামালপুর পৌর শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আজম এমপি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল মাত্র দুই বিলিয়ন ডলার। গতকাল পত্রিকায় দেখলাম সেই রিজার্ভের পরিমাণ হয়েছে ৪৩ বিলিয়ন ডলার। বিগত মাত্র ১১ বছরের ব্যবধানে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পদার্পণ করেছি। বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এগুলো কিন্তু এমনি এমনিই হয় নাই। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই কিন্তু এগুলো হচ্ছে। শুধু জামালপুর জেলাতেই নয়, সারা বাংলাদেশেই শেখ হাসিনার উন্নয়নচিন্তা ও কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে।

মির্জা আজম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে আমি জামালপুরে অনেক উন্নয়ন কাজ করছি। কিন্তু সকল উন্নয়ন, অগ্রগতি, সকল সহযোগিতা বিলীন হয়ে যায় যদি দুয়েকটি ঘটনা ঘটে। শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগের কোন নেতা যদি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত হয়, আর সে যখন ধরা পড়ে তখন পত্রিকায় নিউজ আসে। মনে রাখতে হবে ব্যক্তিগত ঘটনা বলে কিছুই নেই। আওয়ামী লীগ যিনি করেন তার সকল ভালো কাজ আওয়ামী লীগের একাউন্টে আসে। আর খারাপ বা দুর্নাম কিছু থাকলে সেটাও কিন্তু আওয়ামী লীগের একাউন্টেই চলে আসে। কাজেই আওয়ামী লীগের মধ্যে দু’য়েকজনের খারাপ কাজের জন্য সকল উন্নয়ন ও মর্যাদা যেন বিলীন হয়ে না যায়, সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে সবাইকে।

জাতীয় শ্রমিকলীগ পৌর শাখার আহ্বায়ক মো. মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শ্রমিকলীগ জেলা শাখার সভাপতি মশিউর রহমান বাবু। সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন এবং সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন সঞ্চালনা করেন শ্রমিকলীগ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল চিশতী।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আওলাদ হোসেন খসরু, জামালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুম রেজা রহিম ও সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ, জাতীয় শ্রমিকলীগ পৌর শাখার যুগ্মআহ্বায়ক মাহবুব আনাম বাবলা প্রমুখ।

পরে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সম্মেলনের কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে দীর্ঘ সতের বছর পর আগামী তিন বছরের জন্য জাতীয় শ্রমিকলীগ জামালপুর পৌর শাখার ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন সম্মেলনের উদ্বোধক জাতীয় শ্রমিকলীগ জেলা শাখার সভাপতি মশিউর রহমান বাবু। নতুন এই কমিটিতে মো. মোজাম্মেল হককে সভাপতি ও মাহবুব আনাম বাবলাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।