জামালপুরে ব্যবসায়ীনেতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা, বাজারে ধর্মঘট, মানববন্ধন

ব্যবসায়ীনেতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে জামালপুর স্টেশন বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির মানববন্ধন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর স্টেশন বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জামালপুর শহর আওয়ামী লীগের সদস্য গুরুতর অসুস্থ মো. শেখ ফরিদের ওপর সন্ত্রাসী হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে স্টেশন বাজারে একঘন্টা ধর্মঘট ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বেলা ১২টা থেকে একটা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করে স্টেশন বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি।

ব্যবসায়ী নেতা শেখ ফরিদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে জামালপুর স্টেশন বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম মনোহরের ডাকে ২২ ডিসেম্বর স্টেশন বাজারের প্রায় তিন শতাধিক দোকানপাট বেলা ১২টা থেকে একটা পর্যন্ত বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করেন সর্বস্তরের ব্যবসায়ীরা। একই সময়ে বাজারের সামনের রাস্তায় মানববন্ধনে অংশ নেন তারা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমিতির সাবেক আহ্বায়ক চিকিৎসক আব্দুল জলিল আলম, সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম, সাবেক সহ-সভাপতি মাছ ব্যবসায়ী আব্দুস ছাত্তার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আবেদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর হোসেন রুবেল প্রমুখ।

বক্তারা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং এ ঘটনার সাথে জড়িত সকল আসামিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, ব্যবসায়ীনেতা শেখ ফরিদ দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছেন। দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে কষ্ট হয় বিধায় তিনি বসে নামাজ আদায় করেন। ২০ ডিসেম্বর বিকেলে মৃধাপাড়ায় বাসার কাছে মসজিদে বসে আছর নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে নামাজ শেষে স্থানীয় কয়েকজন যুবক তার সাথে অসদাচরণ করেন। একপর্যায়ে ওই যুবকদের একজন তার গালে থাপ্পরও দেন। এ সময় স্থানীয় মুসল্লিরা তাকে উদ্ধার করে বাসায় পৌঁছে দেন। এর কিছুক্ষণ পর ওই যুবকরা বাসায় গিয়ে শেখ ফরিদের ওপর দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা করে। হামলায় শেখ ফরিদের মাথা ফেঁটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। তাকে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার শেখ ফরিদ বাদী হয়ে মৃধাপাড়া এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে মো. লিটন, মতু মিয়ার ছেলে মো. শরিফ ও রুনুর ছেলে মো. সিহাবসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ৮/১০ জনকে আসামি করে জামালপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই মামলার একজন আসামিও গ্রেপ্তার হয়নি।