রাজধানীর চকবাজারে আগুনে পুড়লো প্লাস্টিক কারখানাসহ বেশকিছু টিনসেড ঘর

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ আগুন লেগে রাজধানীর চকবাজার এলাকার উর্দু রোডে নোয়াখালী ভবনের প্লাস্টিক কারখানাসহ বেশকিছু টিনসেড ঘর পুড়ে গেছে। রাত পৌনে চারটার দিকে লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় ১১ ডিসেম্বর ভোর সোয়া ৬ টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাত ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে কারখানায় আগুন লাগে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট।

ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন বলেন, রাজধানীর উর্দুরোড চকবাজারের নোয়াখালী ভবনে আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরো ৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ভোর সোয়া ৬ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

রাত পৌণে ৪ টায় মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দ শুনে ঘুম ভাঙ্গে রাজধানীর উর্দু রোডের বাসিন্দাদের। তারা দেখতে পান উর্দু রোডের ট্রান্সমিটার এবং নোয়াখালী ভবনটিতে আগুন জ্বলছে। পরে আগুন আশপাশেও ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয়রা জানান, নোয়াখালী ভবনসহ আশপাশে প্রায় ৪০ টিরও বেশি প্লাস্টিক কারখানা রয়েছে।

প্লাস্টিকের গোডাউনে আগুন লাগার কারণে আগুনের কুন্ডলী এবং কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।

এর আগেও একাধিকবার আগুন লাগার কারণে নোয়াখালী ভবনকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছিল ফায়ার সার্ভিস। নোয়াখালী ভবনসহ টিনশেড গুলোর বেশির ভাগই অবৈধ কারখানা বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

প্লাস্টিক কারখানা হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। চার তলা ভবনের প্রায় পুরোটাতেই আগুন দেখা যায়। নিরাপত্তার জন্য ভবনটির পাশের বাসাগুলো থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়।

আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৫ টি ইউনিট কাজ করে। পানির স্বল্পতা ও সরু রাস্তার কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে তাদের। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।

আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।সূত্র:ইন্ডিপেন্ডেন্ট২৪ডটকম।