সারাদেশের বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ভাস্কর্য রক্ষায় নিরাপত্তা দিতে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগকে নির্দেশ

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ সারাদেশের বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল এবং ভাস্কর্য রক্ষায় নিরাপত্তা দিতে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৭ ডিসেম্বর বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চলমান স্থাপনায় নিরাপত্তা দিতেও নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিরাপত্তা দেওয়া মন্তব্য করে কুষ্টিয়ার ঘটনা দুঃখজনক বলেও জানায় হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে আগামী এক মাসের মধ্যে জেলা-উপজেলা সদরে জাতির জনকের ম্যুরাল স্থাপনের অগ্রগতির বিষয়ে মন্ত্রীপরিষদ সচিবকে প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত।

এর আগে সারা দেশের ৬৩ জেলার ৩৮০টি উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয় হাইকোর্টে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন- আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. বশির আহমেদ। তার সঙ্গে ছিলেন- মো. জগলুল কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বশির আহমেদ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রিট আবেদন করেছিলেন। হাইকোর্ট সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মুজিববর্ষে সব জেলা ও উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। ৩০ দিনের মধ্যে আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

রিটে পাঠ্যবইয়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ অন্তর্ভূক্ত এবং ভাষণস্থলে স্বাধীনতা স্তম্ভ কেন করা হবে না তা জানতে চেয়ে সরকারের প্রতি রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে আদালত বলেছিল, একাত্তরের যে দিনটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, সেই ৭ মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা করে একমাসের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করতে হবে।

সেদিন আদালত এই আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছিল। এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের দেওয়া একটি প্রতিবেদন সোমবার আদালতে দাখিল করেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব।