মেষ্টায় কীটনাশক ছিটিয়ে মরিচ ক্ষেত বিনষ্ট, ক্ষতি দুই লাখ টাকা

মেষ্টা ইউনিয়নে গোলাম মওলার ক্ষতিগ্রস্ত মরিচক্ষেত। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মাহমুদুল হাসান মুক্তা, জামালপুর প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর সদরের মেষ্টা ইউনিয়নে মরিচ চাষী গোলাম মওলার ৭২ শতাংশ জমিতে ক্ষতিকর কীটনাশক ছিটিয়ে সমস্ত  মরিচের চারা বিনষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে গোলাম মওলার প্রায় দুই লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজনরা ৪ নভেম্বর রাতে এ ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায়  জামালপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক মো. গোলাম মওলা।

অভিযোগে জানা গেছে, জামালপুর সদরের মেষ্টা ইউনিয়নের ভাদুরীপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে গোলাম মওলা বিগত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় বংশীগোপালপুর মৌজায় পৈত্রিক ও ক্রয় করা জমিতে মরিচ ও অন্যান্য ফসল চাষাবাদ করে আসছেন। মাস দেড়েক আগে তিনি ৭২ শতাংশ জমিতে হাইব্রিড জাতের মরিচের চারা রোপণ করে পরিচর্যা করে আসছিলেন। এই জমি নিয়ে প্রতিবেশী মৃত জনু মিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন, মো. কদু ও মো. আকালু এবং মৃত দুদুর ছেলে মো. শাহীনদের সাথে গোলাম মওলাদের জমি সংক্রান্ত পূর্ববিরোধ রয়েছে।

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষ গিয়াস উদ্দিন ও তার লোকজনরা ৪ নভেম্বর রাতে গোলাম মওলার মরিচ ক্ষেতে হানা দিয়ে ক্ষতিকর কীটনাশক ছিটিয়ে দেয়। এতে ক্ষেতের সবগুলো মরিচের চারা ধীরে ধীরে মরে যাচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ওই ক্ষেত থেকে উৎপাদিত মরিচ বিক্রি করে চলতি মওসুমে অন্ততপক্ষে  দুই লাখ টাকা আয় করতে পারতেন তিনি। মরিচ ক্ষেত নষ্ট করেই ক্ষান্ত হয়নি প্রতিপক্ষের লোকজনরা। তারা গোলাম মওলার অন্যান্য জমিতে আবাদ করা ফসলের ক্ষতি করতে পারে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে তিনি ৮ নভেম্বর প্রতিপক্ষ গিয়াস উদ্দিন ও তার লোকজনদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়েরের উদ্দেশ্যে লিখিতভাবে অভিযোগ করে বিচার দাবি করেছেন।

জামালপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক গোলাম মওলা তার মরিচ ক্ষেত বিনষ্ট করার বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।