নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ জন

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় মনির ফরাজী (৩০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২৬ জনের মৃত্যু হলো। বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ ১১ জন এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশংকাজনক।

৬ সেপ্টেম্বর রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন পার্থ সংকর পাল এ তথ্য জানান।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখানে যারা ভর্তি আছেন, তাদের সবার অবস্থা সংকটাপন্ন। ভর্তি ১১ জনের মধ্যে ৫ জন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বিস্ফোরণের ঘটনায় এর আগে সাংবাদিক, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও শিশুসহ ২৫ জন মারা যান। তারা হলেন- সাংবাদিক নাদিম (৪৫),মসজিদের ইমাম আব্দুল মালেক (৬০), ইব্রাহিম (৪২), দেলোয়ার হোসেন (৪২), মোস্তফা কামাল (৩৫) সাব্বির (২১), জুয়েল (৭) জুবায়ের (১৮), হুমায়ূন কবির (৭০), জুনায়েদ (১৭), রিফাত (১৮) কুদ্দুস ব্যাপারী (৭০), জামাল (৪০), রাশেদ (৩০), মাইনুদ্দিন (১২), জয়নাল (৪০), নয়ন (২৭), কাঞ্চন (৫০), রাসেল (৩৪), বাহাউদ্দিন (৫৫), মিজান (৩৪), শামীম হাসান (৪৫), জুলহাস (৩৫), মোহাম্মদ আলী (৫৫) ও আবুল বাশার (৫১)।

৪ সেপ্টেম্বর রাত থেকে ৬ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা পর্যন্ত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আবস্থায় মোট ২৬ জনের মৃত্যু হলো। ২০ জনের মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের তল্লায় জেমস ক্লাব এলাকার বায়তুল সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় আগুন লেগে অর্ধশতাধিক মুসল্লি দগ্ধ হন।

এদের মধ্যে ৪০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল এবং ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এছাড়া এঘটনায় বাকীদেরকে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।