মাদারগঞ্জে কাঁচা মরিচের দাম প্রতিকেজি ২০০ টাকা

কাঁচা মরিচ। ছবি : সংগৃহীত

জাহিদুর রহমান উজ্জল, মাদারগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

মুখের স্বাদের জন্য নয় তরকারি রান্নায় বা বিভিন্ন খাবারে স্বাদ বাড়াতে কাঁচামরিচের চাহিদার শেষ নেই। কিন্তু বন্যা বৃষ্টির কারণে একলাফে বেড়ে গেছে এই মরিচের দাম। জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে এখন প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।

মাদারগঞ্জ উপজেলার প্রসিদ্ধ বালিজুড়ি হাটের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল জানান, এবার দেশি মরিচ এই এলাকায় উৎপন্ন হয়নি। আষাঢ় মাসে যে মরিচ আসে তা বন্যার কারণে উৎপন্ন হয়নি। এখন পাবনার চাটমোহর থেকে মরিচ আসছে। তবে ওখানে পানি উঠায় মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে সে কারণে ২০০ টাকা কেজি মরিচের দাম উঠেছে।

কয়েকজন ক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, তারা বাজারে এসে কাঁচামরিচ কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। এতো মরিচ কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় হোটেল রেস্তোঁরায় গ্রাহকদের ভাতের সাথে ফ্রি মরিচ দেওয়া ছেড়ে দিয়েছে। কাঁচা মরিচের দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।

এদিকে কাঁচামরিচের জন্য বিখ্যাত যমুনা নদীর চরাঞ্চলের কৃষকরা জানান, এবার বন্যার জন্য আগাম জাতের আষাঢ়ের কাঁচামরিচ চাষ করতে পারে নাই। বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে হাইব্রিড জাতের মরিচের চারা ফেলাও যাবে না। ফলে এবার মরিচ চাষে ব্যাপক সমস্যা হবে।

জামথল চরের কৃষক টুনু মিয়া জানান, প্রতিবছর এই সময়ে তারা মরিচ উৎপন্ন করে ঢাকা, কুমিল্লা, সিলেটে পাঠায়। এবার একটি মরিচও হয়নি। তিনি জানান, এবার হাইব্রিড মরিচ চারা ফেলানোর এক ইঞ্চি শুকনো জায়গাও নেই। তারপর অতিবৃষ্টিতে চারা ফেললেও তা নষ্ট হয়ে যাবে। তিনি আরও জানান, ভালো জাতের এক কেজি মরিচ বীজের দাম প্রায় ৬০ হাজার টাকা। তাই কৃষকরা মরিচ চাষে ঝুঁকি নিবে না।

sarkar furniture Ad
Green House Ad