ইসলামপুরে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় যমুনার চরাঞ্চলের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও ইসলামপুর থেকে গুঠাইল বাজার ও ইসলামপুর টু উলিয়া মাহমুদপুর বাজার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এছাড়াও কৃষকের পাট আউশধান বীজতলা ব্যাপক ক্ষতিসহ বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও গোখাদ্যে অভাব দেখা দিয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে জামালপুর বাহাদুরবাদ ঘাট পয়েন্ট এলাকায় ৯২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক আব্দুল মান্নান জানান, স্বাভাবিক পানির স্তর ১৯.৫০। ২৮ জুন বিকালে পানি ২০.৪২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যায় উপজেলার কুলকান্দি ইউনিয়নের বেড়কুশা, পূর্ব জিগাতলা নতুন করে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়ে হুমকির মধ্যে রয়েছে কুলকান্দি ইউনিয়ন কবি হাসান হাফিজুর রহমান শহিদ মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসক ফারুক পরিবারের পারিবারিক কবর স্থানটি। বেলগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মালেক জানান সিন্দুরতলি মন্নিয়া বরুল ঘোনাপাড়াসহ ইউনিয়নের প্রায় অংশ ডুবে গেছে। পাট আউশধান বীজতলা ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

চিনাডুলি ইউনিয়নের দক্ষিণ চিনাডুলি, দেওয়ানপাড়া, ডেবরাইপ্যাচ, বলিয়াদহ, পশ্চিম বামনা, বেলগাছা ইউপির কছিমার চর, দেলীপাড়, গুঠাইল, সাপধরী ইউনিয়নের আকন্দপাড়া, পূর্ব চেঙ্গানিয়ার, পার্থশী ইউনিয়নের মোজাআটা, জারুলতলা, দেলীরপাড় এবং নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের কাজলা, কাঠমা, মাইজবাড়ী, সাপধরী ইউনিয়নের প্রজাপতি, চরশিশুয়া, চরনন্দনের পাড়া, আমতলি, কাশারীডোবা, কটাপুর, ইন্দুল্যামারী, আকন্দপাড়া, কোদাল ধোয়া, মন্ডলপাড়া, বিশরশি ও চেঙ্গানিয়ায় মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অসংখ্য কৃষকের পাট ও আউশ ধান ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

অন্যাদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ছে দ্রুত বাড়ায় ফসলের ক্ষেত, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। ইসলামপুরের উলিয়া সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ।

ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, বন্যার পানি বৃদ্ধি নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় অনেকেই পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনজীবী এসএম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল জানান, যমুনায় খুব দ্রুত গতিতে পানি বাড়ছে। সেই সঙ্গে ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদীর পানিও বাড়ছে। বন্যা মোকাবিলায় উপজেলা পরিষদ আজ থেকেই ত্রাণসামগ্রী শুকনো খাবার নিয়ে পাশে রয়েছে।