আরিফপুরে শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা, মামলা দায়ের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরে নূরানি মাদরাসার শিশু শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে ঘটনার ছয়দিন পর ১৬ জুন প্রতিবেশী মো. আমিনুরকে আসামি করে জামালপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। গত ১১ জুন সদরের আরিফপুর গ্রামে শিশুটি যৌনহয়রানির শিকার হয়। ১৭ জুন শিশুটির জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন আদালত এবং একই দিনে তার ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে, জামালপুর সদরের আরিফপুর গ্রামের বাসিন্দা ওষুধের দোকানের একজন কর্মচারীর ছয় বছর বয়সের মেয়েটি স্থানীয় একটি নূরানি মাদরাসার শিশু শ্রেণির ছাত্রী। একই গ্রামের গেদা মিয়ার ছেলে মো. আমিনুর (৩২) শিশুটিকে মাদরাসায় যাওয়া আসার পথে মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে উত্যক্ত করে আসছিল। গত ১১ জুন বেলা ১টার দিকে শিশুটি পাশের বাড়িতে তার সহপাঠীকে ডাকতে তাদের বাড়িতে যায়। ওই বাড়িতে কেউ না থাকায় আমিনুর শিশুটির মুখচেপে ধরে তাকে ওই বাড়ির রান্না ঘরে নিয়ে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় শিশুটির চিৎকারে আমিনুর দ্রুত সেখান থেকে কেটে পড়েন। পরে শিশুটি বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে ঘটনা খুলে বলে। শিশুটির বাবা নির্যাতনকারী আমিনুরের পরিবারকে এ ঘটনা জানালে উল্টো তারা শিশুটির ওপর দোষ চাপিয়ে তার বাবা-মাকে অশ্লীলভাষায় গালি দেয় এবং মামলা দায়ের না করার হুমকি দেয়।

অবশেষে ঘটনার ছয়দিন পর ১৬ জুন শিশুটির বাবা বাদী হয়ে তার মেয়েকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে প্রতিবেশী আমিনুরকে আসামি করে জামালপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মুশফিকুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, আরিফপুর গ্রামের ওই শিশুকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে তার বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। যৌন হয়রানির শিকার ওই শিশুটিকে ১৭ জুন আদালতে হাজির করা হলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় শিশুটির জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন আদালত। মামলাটির একমাত্র আসামি আমিনুরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।