শাহবাজপুরে ময়দার বস্তায় সরকারি চাল পাচার!

শাহবাজপুরে জব্দ করা হয় সরকারি বরাদ্দের ৩০ বস্তা চাল। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

অভিনব কায়দায় ময়দা, পোল্ট্রি খাদ্য ও পশুখাদ্যের পলিবস্তায় ভরে হতদরিদ্রদের জন্য সরকারি বরাদ্দের চাল পাচারের সময় ৩০ বস্তা চালসহ তিনটি ইজিবাইক আটক করেছে গ্রামবাসী। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে চালগুলো জব্দ করে পুলিশের জিম্মায় রেখেছেন জামালপুর সদরের ইউএনও ফরিদা ইয়াছমিন। ১০ এপ্রিল ভোরে জামালপুর সদর উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের চিকারপার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১০ এপ্রিল ভোর সাড়ে ৬টার দিকে জামালপুর সদর উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের চিকারপার গ্রামের রাস্তায় অভিনব কায়দায় আটা-ময়দা, পোল্ট্রি খাদ্য ও পশুখাদ্যের পলিবস্তায় পণ্যভরা তিনটি ইজিবাইক যাচ্ছিল। স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হলে তারা ইজিবাইক তিনটি আটক করেন। পরে বস্তা খুলে এবং ইজিবাইকের চালকদের সাথে কথা বলে প্রতিটি বস্তায় চাল আছে বলে নিশ্চিত হন স্থানীয়রা। ৯ এপ্রিল দুপুরে মো. আসাদুল নামের এক ব্যক্তি চিকারপার গ্রামের রফিকের বাড়িতে ৩০ বস্তা চাল রেখে যান। সেই বস্তাগুলোই ১০ এপ্রিল ভোরে রফিকের বাড়ি থেকে অন্যত্র পাচার হচ্ছিল।

খবর পেয়ে সদরের ইউএনও ফরিদা ইয়াছমিন ঘটনাস্থল থেকে চালের বস্তাগুলো উদ্ধার করে একজন খাদ্য কর্মকর্তার মাধ্যমে নিশ্চিত হন যে চালগুলো সরকারি খাদ্যগুদামের চাল। করোনার প্রভাবে কর্মহীন দরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রির জন্য বরাদ্দকৃত এ ইউনিয়নের ডিলারদের কেউ হয়তো চালগুলো কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সন্দেহভাজন ক্রেতা আসাদুল ও রফিক পলাতক থাকায় কোথা থেকে তারা চালগুলো সংগ্রহ করেছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জব্দ করা চালের বস্তাগুলো সদরের নারায়ণপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের জিম্মায় রাখা হয়েছে। ইজিবাইকচালকদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফরিদা ইয়াছমিন এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘জব্দ করা ৩০ বস্তায় আনুমানিক ১৫শ’ কেজি চাল রয়েছে। এগুলো সরকারি বরাদ্দের চাল বলে খাদ্য কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। চালের বস্তাগুলো নারায়ণপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের জিম্মায় রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’