মেষ্টায় পোড়ানো হলো পিপিই!

জামালপুর সদরের মেষ্টায় রোগীর নমুনা সংগ্রহ শেষে পোড়ানো হয় পিপিই। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

সংক্রামক রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম-পিপিই খুবই দরকারি বিষয়। একটি পিপিই একবারই ব্যবহার করা যায়। পিপিই পরে রোগীর নমুনা সংগ্রহ বা প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়া শেষে পিপিই পুড়িয়ে ধ্বংস করার নিয়ম রয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

৩ এপ্রিল বিকেলে জামালপুর সদরের মেষ্টা ইউনিয়নের পশ্চিম ছাতিয়ানি গ্রামে ঢাকাফেরত এক ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। জামালপুরের উপ-সিভিল সার্জন চিকিৎসক কে এম শফিকুজ্জামান ও জামালপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মো. মাহফুজুর রহমান সোহান ও দু’জন স্বাস্থ্যকর্মীকে নিয়ে ওইদিন বিকেলে ওই গ্রামে গিয়ে ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করেন। করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন কিনা ওই ব্যক্তি তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা সংগ্রহ শেষে দু’জন স্বাস্থ্যকর্মী তাদের দুই সেট পিপিই ওই বাড়ির সামনেই আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেন।

উপ-সিভিল সার্জন চিকিৎসক কে এম শফিকুজ্জামান এ প্রতিবেদককে বলেন, পিপিই মাত্র একবারই ব্যবহার করার নিয়ম রয়েছে। তাই রোগীর নমুনা সংগ্রহ শেষে দুই সেট পিপিই পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য এই ব্যক্তির নমুনা ময়মনসিংহ সরকারি ল্যাবে পাঠানো হলে তার দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া যায় নি।।