পাথরেরচর বাজারে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি

এভাবেই দাউদাউ করে জ্বলে পুড়ে ছাই হয় পাথরেরচর বাজারের হাজি মার্কেট। ছবি : বোরহান উদ্দিন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের পাথরেরচর বাজারে হাজি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকা-ে মার্কেট মালিকের ঘর এবং তিনজন ব্যবসায়ীর ছয়টি দোকান ও গুদামের মালামালসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ২৯ মার্চ রাত ৮টার দিকে ওই এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা জানান, ২৯ মার্চ রাত ৮টার দিকে পাথরেরচর বাজারের এল-প্যাটার্ন টিনশেড হাজি মার্কেটে আগুন লাগে। তখন বিদ্যুৎ ছিল না। আগুন মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তিনজন ব্যবসায়ীর ছয়টি দোকান ও গুদামে আগুন দাউদাউ করে জ¦লতে থাকে। এ সময় স্থানীয় হাজার হাজার গ্রামবাসী বালি ও পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালান। খবর পেয়ে আগুন লাগার প্রায় ৫০ মিনিট পর দেওয়ানগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপন গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছুলেও বিশাল মার্কেটঘরসহ তিনজন ব্যবসায়ীর ছয়টি দোকান ও গুদামের সমস্ত মালামাল পুড়ে ছাই হয়। এতে ব্যবসায়ী রবিউল আলমের পার্টেক্স ফার্নিচার ও মেশিনারিজ যন্ত্রাংশের দোকান ও একটি লেপতোষকের দোকান, প্রাণ কম্পানির এজেন্ট মো. ইব্রাহিমের একটি দোকান ও দুটি গুদাম এবং আলমের হুণ্ডার গ্যারেজ পুড়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মার্কেটঘর মালিক ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন।

ডাংধরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ মো. মাসুদ এ প্রতিবেদককে বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে হাজার হাজার মানুষ বালি ও পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালান। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে আসতেই দোকান ও গুদামগুলো সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ী ইব্রাহিমের কোমল পানীয় ও নুডলসের গুদামের। তবে কোন দোকান থেকে কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

দেওয়ানগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, পাথরেরচর বাজারে আগুন লাগার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আমরা গাড়ি নিয়ে রওনা হই। প্রায় ৫০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। ব্যবসায়ীরা অনেক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করলেও তাৎক্ষণিকভাবে আমরা তিন ব্যবসায়ীর ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ এবং অন্তত ২০ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।