ফেসবুকের কল্যাণে জামালপুর শেখ রাসেল থেকে শিশু রাকিবকে বাবার হাতে হস্তান্তর

ফেনী থেকে পথ ভুলে চলে আসা হারিয়ে যাওয়া শিশু রাকিব হাসানকে তার বাবার হাতে হস্তান্তর করা হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

হারিয়ে যাওয়া শিশু রাকিব হাসান অবশেষে ফিরে গেলো বাবা, মায়ের কাছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে জামালপুর শেখ রাসেল প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে রাকিবের বাবার হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে তুলে দেওয়া হয়।

এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের উপপ্রকল্প পরিচালক শুভঙ্কর ভট্টাচার্য, পরিচালনা কমিটির সদস্য ও শিশু হস্তান্তর কমিটির সভাপতি, উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, শেখ রাসেলের মনোবিজ্ঞানী মনির হোসেন, সমাজকর্মী আরমান আলী, উন্নয়ন সংঘের উপজেলা ব্যবস্থাপক আরজু প্রমুখ।

জানা যায়, কর্মক্ষেত্র থেকে খেলার ছলে নিকটস্থ ফেনী রেল স্টেশনে এসে প্লাটফরমে অপেক্ষমান ট্রেনে উঠে পড়ে শিশু রাকিব। নামার আগেই ট্রেন ছেড়ে দেয়। ভোর রাতে জামালপুর স্টেশনে কান্নারত অবস্থায় দায়িত্ব পালনরত পুলিশ তাকে জিআরপি থানায় নিয়ে আসেন। জামালপুর জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিমকে জানান। উন্নয়ন সংঘের পক্ষে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে শিশুটির সুরক্ষার জন্য তাকে শেখ রাসেল প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হয়।

ফেসবুকে শিশুটির সন্ধান চেয়ে আবেদন জানানো হয়। ফেসবুকের স্ট্যাটাসটি পর্যটনে বাংলাদেশ সংগঠনটির কর্ণধার আরিফ আহম্মেদ শুভর মাধ্যমে ফেনী প্রতিনিধিদের জানানো হয়। এ ব্যাপারে সংগঠনের প্রতিনিধি রাফি বিন তাজুল, চিকিৎসক এনামসহ ফেনীতে বসবাসরত একাধিক মানবিক মানুষ শিশুটির অভিভাবকের সন্ধান শুরু করেন। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে দুইদিনের মধ্যেই হারিয়ে যাওয়া রাকিবের বাবা, মায়ের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়।

রাকিবের বাবা বাবুল মিয়া বলেন, ‘পুলাডা থিরি পন্ত লেহাপড়া করছে। মাথাডা বালা না থাহায় তারে কামে দেওয়া অয়। পুলা হারায়ে গেলে আমাগো খাওয়া, ঘুম হারাম হইয়ে গেছিল। ওর মা কানতে কানতে পাগল হবার যুগার। ফেনী থানায় জিডি করা হইছে।’

২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টায় উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে শিশুটির বাবার হাতে হস্তান্তর করা হয়। রাকিবের বাবা নিম্ন আয়ের একজন মানুষ।