জামালপুর শেখ রাসেল থেকে মায়ের কোলে অবুঝ শিশু হারুন

জামালপুর শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে হারিয়ে যাওয়া শিশু হারুনকে তার মায়ের কাছে তুলে দেওয়া হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর মামার বাড়ি থেকে মায়ের কর্মস্থল গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর চান্দুরা যাওয়ার উদ্দেশে বের হয় ১০ বছর বয়সী শিশু হারুন। দীর্ঘ সাতদিন ভুল করে ঘুরতে ঘুরতে অবশেষে জামালপুর চলে আসে সে। জনৈক ব্যক্তি শিশুটিকে থানায় নিয়ে আসেন ১৮ ফেব্রুয়ারি। জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালেমুজ্জামান বিষয়টি উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিমকে জানান। উন্নয়ন সংঘের পক্ষে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে শিশুটিকে রেখে আসে শেখ রাসেল প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে। ফেসবুকে শিশুটির সন্ধান চেয়ে আবেদন জানানো হয়। এছাড়া শেখ রাসেল কর্তৃপক্ষ নানাভাবে চেষ্টা করার পর ১৯ ফেব্রুয়ারি খবর পেয়ে শিশুটির মা জামালপুর চলে আসেন।

১৯ ফেব্রুয়ারি বিকাল সাড়ে চারটায় উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে শিশুটির মা ফরিদা বেগমের হাতে হস্তান্তর করা হয়। এসময় শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের উপ-প্রকল্প পরিচালক শুভঙ্কর ভট্টাচার্য, পরিচালনা কমিটির সদস্য ও শিশু হস্তান্তর কমিটির সভাপতি উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, পুলিশ বিভাগের প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম, শেখ রাসেলের মনোবিজ্ঞানী মনির হোসেন, সমাজকর্মী আরমান আলী, উন্নয়ন সংঘের উপজেলা ব্যবস্থাপক আরজু প্রমুখ।

হারুনের মা বলেন, পাঁচমাসের মায়ের গর্ভ থাকা অবস্থায় তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। আমি নতুন করে আর বিয়ে শাদি করি নাই। ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে নতুন করে কোনো চিন্তাও করি নাই। জীবিকার তাগিদে গার্মেন্টসে চাকরি করি। তিনি তার ছেলের সুরক্ষায় যারা সহায়তা করেছেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ যে, সম্প্রতি সময়ে জামালপুরে বেশ কিছু শিশুকে এই অবস্থায় পাওয়া যায়। ১৯ ফ্রেব্রুয়ারি জামালপুর জিআরপি থানা থেকে ১৩ বছর বয়সী রাগিব হাসান নামে এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়। উন্নয়ন সংঘের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করে তাকে শেখ রাসেল প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। ছেলেটি জানায় তার বাড়ি ফেনী জেলা সদরের মডেল থানাধীন সোনাপুর এলাকায়। তার বাবার নাম বেলাল হোসেন, মায়ের নাম ডালি। এ ব্যাপারে ফেনী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছে।