চিনাডুলী এস এন উচ্চ বিদ্যালয়ে সুবর্ণ জয়ন্তীতে হ-য-ব-র-ল!

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় হ-য-ব-র-ল অবস্থার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে চিনাডুলী এস. এন. উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব।

জানা যায়, গত ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর দিনব্যাপী ৫০ বছর পূর্তিতে সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব পালন করে চিনাডুলী এস. এন. উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। এতে প্রথমে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতাদের অবমূল্যায়ণ, দ্বিতীয়ত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে মঞ্চে আসন না দিয়ে বির্তকের সৃষ্টি করেন সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের আয়োজক কমিটি।

বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা আব্দুস সামাদ সরকারের উত্তরসূরির কাউকে সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমন্ত্রণ করেনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে ক্ষুব্ধ হয়ে ২৮ ডিসেম্বর বিকালে আব্দুস সামাদ সরকারের নাতি মো. মিলন ইসলামপুর প্রেসক্লাবে লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগে জানা গেছে, ১৯৬৯ সালে উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নে চিনাডুলী গ্রামে এস. এন. উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী আব্দুস সামাদ সরকার তিন বিঘা জমি লিখে দেন। ফলশ্রুতিতে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়ে অদ্যাবধি সুনামের সাথে চলছিল।

কিন্তু বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তিতে অনুষ্ঠিত সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতাদের কাউকে জানাননি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে শুধু অবমূল্যায়ণই করা হয়নি, বরং জমিদাতাদের অস্বীকারও করা হয়েছে মর্মে ওই লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন আব্দুস সামাদ সরকারের নাতি মো. মিলন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গত ২৭ ডিসেম্বর বেলা এগারোটায় অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালামকে মূলমঞ্চে কোনো আসন না দিয়ে মাইকে তাকে মাঠে বসতে ঘোষণা দেন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক। এতে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের শুভাকাক্সিক্ষরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এছাড়া এলাকার সুধীজনদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না করায় সুধীজনরাও বেঁকে বসেন। উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের অবমূল্যায়ণ করায় সাংবাদিকরা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে চলে আসেন।

এব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে এস. এন. উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাহিদুল ইসলাম বিজয় ‘আমি মেনটালি প্রবলেমে (মানসিক সমস্যায়) আছি ’ বলেই ফোনের লাইন কেটে দেন।