নকলায় যানবাহন চালকদের সাথে ট্রাফিক পুলিশের মতবিনিময়

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

শফিউল আলম লাভলু, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরের নকলা উপজেলায় ভাড়ায় চালিত বিভিন্ন যানবাহন চালকদের সাথে ট্রাফিক পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩ নভেম্বর বিকেলে নকলা-নালিতাবাড়ী ট্রাফিক জোনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের নতুন হলরুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদার, নকলা-নালিতাবাড়ী ট্রাফিক জোনের পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) মো. শাহাব উদ্দিন, টিএসআই মো. নজরুল ইসলাম, এটিএসআই মো. শাহিন এবং শ্রমিকলীগসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

নকলা-নালিতাবাড়ী ট্রাফিক জোনের পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে ব্যাটারিচালিত সকল যানবাহনের ডান পাশের দরজা একদম বন্ধ করে দিতে হবে এবং সামনের ম্যাজিক এলইডি বাতি উপরের দিকে না দিয়ে নিচের দিকে রাখতে হবে। পরে সড়ক পরিবহনের নতুন আইন সম্পর্কে সকল অবহিত করেন এবং উপস্থিত সকলের মাঝে নতুন আইনের প্রচারপত্র বিতরণ করেন। উপস্থিত সকলেই নতুন আইন মেনে চলার আশ্বাস দেন।

জানা যায়, চালকসনদ না থাকলে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে। এর আগে এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল চার মাসের কারাদন্ড বা ৫০০ টাকা অর্থদন্ড। ১ নভেম্বর থেকে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ কার্যকর করার জন্য গত ২২ অক্টোবর প্রজ্ঞপন জারি হয়। এরপর বিআরটিএ থেকে আইনটি কার্যকর করতে সকলের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রচার শুরু হয়েছে। নিবন্ধন ছাড়া গাড়ি চালালে অনধিক ছয় মাসের জেল বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে। আইনে প্রাণহানীর বিষয়ে সর্বোচ্চ দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

নতুন আইনে বেপরোয়া বা অবহেলায় গাড়ি চালানোর কারণে কেউ গুরুতর আহত বা কারো প্রাণহানি হলে অপরাধীর সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদন্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। তদন্তে যদি দেখা যায় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে চালক বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে, তাহলে দন্ডবিধির ৩০২ ধারা অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে। অর্থাৎ সর্বোচ্চ সাজা হবে ফাঁসি। তবে এটা তদন্ত সাপেক্ষে এবং তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্ধারণ করবে। এটি অজামিনযোগ্য শাস্তি। আগের আইনে ছিল ৩ বছরের কারাদন্ড ও তা জামিনযোগ্য। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ গাড়ি চালালে ছয় মাসের জেল বা অনধিক ২৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড দেওয়া হবে।