বকশীগঞ্জে বিদ্যালয়ে ঢুকে প্রধান শিক্ষিকাকে পেটালেন সাবেক ইউপি সদস্য

সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত প্রধান শিক্ষিকা আফরোজা সুলতানা বিনা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিার কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে প্রধান শিক্ষিাকে রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে সাবেক এক ইউপি সদস্য। ওই শিক্ষিকার হাত ভেঙে যাওয়ায় তাকে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৯ আগস্ট বেলা ১১ টার দিকে নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের সাজিমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

জানা গেছে, সাজিমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসএমসি কমিটি (ম্যানেজিং) গঠন করার জন্য আগামি ১৬ সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষনার সিদ্ধান্ত হয়। ম্যানেজিং কমিটিতে সভাপতি হতে সাজিমারা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য হামিদুর রহমান ফর্সা ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আফরোজা সুলতানা বিনাকে অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করেন।
হামিদুর রহমান ফর্সাকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় এসএমসির সভাপতি পদে ঘোষনার জন্য প্রধান শিক্ষিকাকে চাপে রাখেন। কিন্তু নিয়মের বাইরে ওই প্রধান শিক্ষিকা না যাওয়ার ঘোষনা দিলে তার উপর ক্ষুব্দ হয় হামিদুর রহমান ফর্সা।

২৯ আগস্ট বেলা ১১ টার দিকে সকল শিক্ষক ক্লাসে পাঠদানের জন্য গেলে হামিদুর রহমান ফর্সা প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। হামিদুর রহমান ফর্সা প্রধান শিক্ষিকা আফরোজা সুলতানাকে বলেন আমাকে কেন সভাপতি ঘোষনা করবি না। একথা বলেই লোহার রড দিয়ে কক্ষেই বেধড়ক পেটাতে থাকে। এ সময় তার চিৎকারে অন্যান্য শিক্ষক তাকে উদ্ধার করেন এবং তাৎক্ষনিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এঘটনায় উপজেলার সকল শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সাজিমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার উপর হামলা ও মারপিটের ঘটনা শুনে তাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অরুনা রায়। তিনি অবিলম্বে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।

বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক প্রতাপ নন্দী জানান, তাকে লোহার রড দিয়ে পেটানোর ফলে তার বাম হাতের হাড় ভেঙে গেছে পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মাহবুব আলম বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, এ ঘটনা শুনেই হামিদুর রহমান ফর্সাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে। এ ব্যাপারে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।