বকশীগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬০০ কৃষক পাবে স্বল্প জীবনকালের বীজতলা

বকশীগঞ্জে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য স্থাপিত কমিউনিটি বীজতলা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় মধ্য জুলাইয়ে বয়ে যাওয়া ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বিশেষ করে রাস্তা-ঘাট, ফসলের ক্ষতি সাধন হয়। এবারের ভয়াবহ বন্যায় কৃষকের ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। যেসব এলাকায় বীজতলা রোপণ করা ছিল সেগুলো বন্যার পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কৃষকরা বন্যা পরবতী সময়ে রোপা আমন চাষে বীজতলা সংকটে পড়ে।

বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরে কৃষকরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়ে রোপা আমন চাষ নিয়ে। কেউ কেউ রোপা আমন চাষ বাদ দেওয়ার চিন্তা করেছেন। আবার কেউ অন্য উপজেলা থেকে চড়া মূল্যে বীজতলা কিনে জমিতে রোপণ করছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ক্ষতির কথা চিন্তা করে রোপা আমন ধানের বীজতলা সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেন।

বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর বকশীগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন ইউনিয়নে ‘কমিউিনিটি বীজতলা’ রোপণ করা হয়। এর মধ্যে স্বল্প জীবনকাল ধানের বীজতলা রয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলমগীর আজাদ জানান, এই উপজেলায় বন্যায় অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই তাদের সহযোগিতার জন্য উপজেলা কৃষি দপ্তর থেকে ৬০০ কৃষককে ব্রি-আর-২২, বিনা ধান-৭ ,ব্রি আর-৩২ সহ স্বল্প জীবনকালের কমিউনিটি বীজতলা বিতরণ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। রোপণকৃত এসব বীজতলা ৬০০ কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হবে। ইউপি চেয়ারম্যান ও কৃষকদের সাথে কথা বলে বীজতলা শিগগিরই বিতরণ কার্যক্রম শেষ করা হবে।